১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করল বাটা
Published: 23rd, April 2025 GMT
বাটা শু (বাংলাদেশ) লিমিটেড ২০২৪ সালের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কোম্পানিটির ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৬ জুন বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ মে।
বাটা শুর বিবরণী অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় গত বছর শেয়ারপ্রতি আয় ২৬ শতাংশ কমে ২১ টাকা ৬২ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২১ টাকা ৬২ পয়সা। আগের বছর যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ২৯ টাকা ৩১ পয়সা।
সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২০ টাকা ২২ পয়সা। এটি ২০২৩ সালে ছিল ২৩৭ টাকা ৯৩ পয়সা। এ ছাড়া গত বছর বাটা শুর নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ হয়েছে ৭১ টাকা ৪২ পয়সা; ২০২৩ সালে যা ছিল ৯৩ টাকা ৮০ পয়সা।
লভ্যাংশ ঘোষণারও পর আজ বুধবার শেয়ারবাজারে বা শু কোম্পানির শেয়ারের দাম তেমন একটা বাড়েনি। সকালের প্রথম অধিবেশনে দাম বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
গত এক বছরে বাট শু কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১ হাজার ২৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ৭৭০ টাকা। এর আগে ২০২৩ সালে বাটা লভ্যাংশ দিয়েছে ৪৩৫ শতাংশ; ২০২২ সালে ৩৬৫ শতাংশ; ২০২১ সালে ৭৫ শতাংশ ও ২০২০ সালে ২৫ শতাংশ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, কর ফাঁকির কারণে ২০২৩ সালে আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।
সিপিডির গবেষণা বলছে, এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ হারিয়েছে করপোরেট কর ফাঁকির কারণে। ২০২৩ সালে করপোরেট কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।
আজ সোমবার সিপিডির কার্যালয়ে বাংলাদেশের উত্তরণে করপোরেট আয়কর সংস্কার বিষয়ক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
সিপিডির গবেষণা বলছে, ২০১১ সাল থেকে কর ফাঁকির পরিমাণ বেড়েছে, ২০১২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা এবং ২০১৫ সালে তা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকায় পৌঁছায়।
গবেষণায় বাংলাদেশের ক্রমাগত কর ফাঁকির পেছনে কয়েকটি প্রধান কারণ উঠে এসেছে। এর মধ্যে আছে উচ্চ কর হার, প্রশাসনিক দুর্বলতা, জটিল আইনি কাঠামো এবং কর ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক দুর্নীতি।