অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।

বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক।

গ্রামীণ টেলিকমের ৬ কর্মকর্তা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

২০২৩ সালের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ৮ জুলাই অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাটির কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড.

ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তৎকালীন শীর্ষ ৬ কর্মকর্তা। তবে আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে আদেশ দেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে এরমধ্যেই রাষ্ট্র বা দুদকের পক্ষে পিপি মামলাটি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। গত ১১ আগস্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক। অন্যদিকে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে গত বছরের ২১ অক্টোবর আপিল বিভাগ আদেশ দেন। সে অনুযায়ী আপিল শুনানি শেষে বুধবার রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।

আপিলকারীদের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর এ মামলাটির শুনানির জন্য বিচারিক আদালতে দিন ধার্য থাকা অবস্থায় আপিলকারীদের না জানিয়েই গত ১১ আগস্ট মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়, যাতে আইনের লঙ্ঘন হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র ম ণ ট ল কম র আপ ল ব ভ গ কর মকর ত ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে ইবির প্রশাসন ভবনে তালা

বিভাগের নাম পরিবর্তন ও সেশনজট নিরসনের দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। 

এদিকে বিভাগের নাম পরিবর্তন না করার দাবিতে প্রশাসন ভবনের অন্য অংশে অবস্থান নেন বিভাগটির আরেকদল শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে তারা এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা পরে দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনা হয়। আলোচনায় পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

ছাত্রশিবিরের শিক্ষাবৃত্তি পেলেন ইবির অর্ধশত শিক্ষার্থী 

ইবি অর্থনীতি ক্লাবের কমিটি গঠন

শিক্ষার্থীরা বলেন, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর বিভাগে দাবি উত্থাপন করা থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৮ মাস যাবত আমরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। বিভাগের প্রসেস অনুযায়ী আবেদন প্রেরণ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা নিয়ম মেনেই এ আন্দোলন শুরু করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে আমাদের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি উত্থাপিত হলে উপাচার্যের একটি এক্সপার্ট কমিটি গঠন করেন।

সেই একডেমিক কাউন্সিল পরবর্তী সিন্ডিকেটে আমাদের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত প্রশাসন হতে আসেনি। আমরা প্রশাসনের তালবাহানা ছাড়া এখন পর্যন্ত কিছুই দেখতে পাইনি। আমরা নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো আপডেট পাইনি এবং এক্সপার্ট কমিটির রিপোর্টের সিদ্ধান্তও আমরা পাইনি। আমাদের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এ প্রহসনের কড়া জবাব দিতে আজ প্রশাসন ভবনে তালা দিতে বাধ্য হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আমরা আজকে বিভাগের নাম পরিবর্তনের জন্যে গঠিত এক্সপার্ট কমিটির রিপোর্ট সাবমিট এবং নাম পরিবর্তন করে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি করার চূড়ান্ত আপডেট নিয়েই এখান থেকে অবরোধ বন্ধ করবো।

তারা আরো বলেন, আমাদের বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সদস্যদের মধ্যে মতনৈক্য ও ক্লাস পরীক্ষা নিতে স্বেচ্ছাচারিতা আমাদেরকে একাডেমিক জটে ফেলে দিচ্ছে। যেখানে আমরা চাচ্ছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের পরীক্ষা শেষ করতে সেখানে আমাদের পরীক্ষা কমিটির দুইজন সদস্য শিক্ষক মিটিংয়ে বসে সিদ্ধান্ত দিতে রাজি নন। আমাদের দাবি হচ্ছে আজকের মধ্যে বিভাগের পূর্বের পরীক্ষা কমিটি তাৎক্ষনিকভাবে বাতিল করে নতুন কমিটি দিয়ে আমাদের বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম সচল করা হোক। 

এদিকে, বিভাগের নাম পরিবর্তন না করার দাবিতে প্রশাসন ভবনে অবস্থান গ্রহণ করেন বিভাগটির আরেকাংশের শিক্ষার্থীরা। তবে বিভাগের শিক্ষকরা তাদের বুঝালে তারা অবস্থান ছেড়ে চলে যায়। 

তাদের দাবি হলো- বিভাগের পূর্ব নাম ছিল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি। পরে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলেয়ে বিভাগের নাম জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট করার দাবি জানিয়েছি। সকল চাকরিতে জিওগ্রাফির গুরুত্ব একটু বেশি। আর জিওগ্রাফি মূল সাবজেক্ট। তাই আমরা কখনো মূল সাবজেক্ট হারাতে চাই না। তাই আমরা চাই আমাদের বিভাগের যেই নাম বর্তমানে আছে, সেটাই নামই বহাল থাকবে। 

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে গঠিত কমিটি আগামী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

এর আগে, একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগীয় সভাপতি ও প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।

পরবর্তীতে এ বছরের ২৬ জানুয়ারি আবারো প্রশাসন ভবনের সামনে একই দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিভাগের নাম পরিবর্তন না করার দাবিতেও মানববন্ধন ও আন্দোলন করেছে বিভাগের আরেকদল শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আন্দোলনে ফিরছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা, ঢাকায় আসছেন প্রতিনিধিরা
  • মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলার বিচার শুরু, পরবর্তী শুনানি রোববার
  • গুম হত্যার চেয়েও ভয়াবহ অপরাধ, বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: আইন উপদেষ্টা
  • বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে ইবির প্রশাসন ভবনে তালা
  • তালিকায় ১ হাজার ৪১৫ নদী, এবার কি বাঁচবে
  • যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরবর্তী বৈঠক মাসকটে
  • আগামী তিনদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস 
  • বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
  • মামলায় আটকে আছে ইকোপার্ক