Prothomalo:
2025-04-23@09:27:51 GMT

এই আমি ও সেই আমি

Published: 23rd, April 2025 GMT

আমি তারে দুঃখ দেব বলে সাজাচ্ছি ঘরদোর
তারে দুঃখ দেব বলে জোর জমাচ্ছি মনে
চোখে না–দেখতে শিখছি, না–দেখতে শিখছি আলো
আলো শুধুই প্রতারণা করে, এ পথের কথা বলে নিয়ে যায় সে পথে

আমি খুব করে একবার দুঃখ দেব বলে চুপেচাপে শিখেছি অনেক
শিখে নিয়েছি জেগে থাকার কালে কীভাবে মড়ার মতো ঘুমাতে হয়
কীভাবে উদাসীনতা দিয়ে ঢেকে ফেলতে হয় নিজের বিবিধ ছায়া
মানুষের ছায়ারাই ঘন মায়া নিয়ে পেছন পেছন ঘুরে বেড়ায়

নকশা করা মায়াগুলোর ভাঁজে ভাঁজেই লেগে থাকে সুখ আর শোক
আমি সব জারিজুরি, সকল কায়দাবাজির বিস্তারিত জেনে গেছি
জেনে গেছি সুখ পাওয়ার জন্যই মানুষ হয়ে ওঠে স্বার্থপর
যখনই হিসাবে পাকা হয়ে ওঠে, শোক ভাবে সময় পেকেছে এবার

প্রথমে সে ভান দেখায় আলিঙ্গনের, তারপর চেপে ধরতে থাকে
আমি পুরো মনোযোগ দিয়ে কাবু করতে না পারা শিখছি
জুড়িয়ে যেতে শিখছি, ভাসিয়ে দিতে তরল হওয়া শিখছি
আমি খালি গ্লাসের মতো একলাই টেবিলে দাঁড়িয়ে থাকা শিখছি 

শিখতে চাইলে দিনরাত কত কিছুই শেখা যায়—
এই আমি একদা ভালোবাসতে চাওয়া ছাড়া কিছুই শিখতে চাইনি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাউকে চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই যত দোষ’

টাইমস স্কয়ারের পিচঢালা পথ। ডিজিটাল বিলবোর্ডগুলোতে প্রদর্শিত হচ্ছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন। ব্যস্ত এ পথে চুম্বনরত অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমার তরুণ অভিনয়শিল্পী ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা ব্যানার্জি। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ঋদ্ধি সেন তার ফেসবুকে বেশ কটি ছবি পোস্ট করেন। তার একটি ছবিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। 

ব্যক্তিগত জীবনে ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন, এ খবর সবারই জানা। কিন্তু ফেসবুকে চুমুর ছবি দেওয়ায় নেটিজেনদের একাংশ বেশ নাখোশ হয়েছিলেন। অনেকে আক্রমণ করে মন্তব্য করেছিলেন। যার ফলে দ্রুত ভাইরাল হয়েছিল ছবিটি। তখন তরুণ জুটির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।

সেই সময়ে বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি সুরঙ্গনাকে। দীর্ঘ দিন পর এ নিয়ে নিজের মতামত জানালেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সুরঙ্গনা বলেন, “আমি আর ঋদ্ধি গত দশ বছর ধরে একসঙ্গে আছি, সেটা সবাই জানেন। একসঙ্গে একটা ছবি তুলেছি সেটা কেন এত সাড়া ফেলেছিল বুঝতে পারিনি। দেখেছি অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করেছেন। কী আর বলি! খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কারণ গোটা পৃথিবীটাই একটা গোঁড়ামির দিকে যাচ্ছে।”

আরো পড়ুন:

‘মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা, ছেলেরা করলে লোকে বলে— এলেম আছে’

আড়ালে গিয়ে অরিন্দমকে গালাগাল দেয়: স্বস্তিকা

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সুরঙ্গনা বলেন, “চারদিকে প্রকাশ্যে এত খারাপ ঘটনা ঘটছে, রাস্তায় কেউ কাউকে চড় মারলে অসুবিধা হয় না, চুমু খেলেই যত দোষ? দুটো মানুষ চুমু খাচ্ছে এতে অসুবিধার কী আছে? এটা তো অশ্লীল কিছু নয়।”

কলকাতার মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা কৌশিক সেনের পুত্র ঋদ্ধি সেন। এ পরিবারেও সুরঙ্গনার অবাধ আনাগোনা। এ জুটির পথচলা নিয়েও নানা গুঞ্জন উড়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন— তারা কি বন্ধু নাকি প্রেমিকযুগল? পরবর্তীতে সম্পর্কের কথা অকপটে স্বীকার করেন তারা।

ছোটবেলাতেই ঋদ্ধির অভিনয়ে হাতেখড়ি। তারপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। কেবল তাই নয়, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ঋদ্ধি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো: ‘ইতি মৃণালিনী’, ‘কাহানি’, ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ প্রভৃতি।

সুরঙ্গনা শুধু অভিনেত্রী নন তিনি একাধারে নৃত্যশিল্পী ও কণ্ঠশিল্পী। শিশুশিল্পী হিসেবে তার অভিনয়ের পথচলা শুরু। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো: ‘চিরসাথী’, ‘মাটি ও মানুষ’, ‘গয়নার বাক্স’, ‘গল্প হলেও সত্যি’ প্রভৃতি।

‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ সিনেমায় প্রথম জুটি বেঁধে অভিনয় করেন ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা ব্যানার্জি। এতে প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্রে দেখা যায় তাদের। এরপর ‘সমান্তরাল’, ‘শরতে আজ’ ওয়েব সিরিজেও জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তারা।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ