প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতির দিক থেকে প্রচুর সম্ভাবনাময় একটি আশ্চর্যজনক দেশ। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বেসরকারি ব্যবসায়িক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা জানান।

অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারতের সাত রাজের‌্য সমুদ্রে প্রবেশর সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তিনি বলেন, যদি তাদের সমুদ্রে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশ শিক্ষিত তরুণদের হাতে প্রযুক্তি থাকা অবস্থায় একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক কেন্দ্র হতে পারে।

বিদেশী উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন করেছে, যেখানে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অসাধারণ সাড়া পেয়েছেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এটি বিশ্বের আটটি সর্বাধিক জনবহুল দেশের একটি। প্রায় ১৮ কোটি মানুষ একটি ক্ষুদ্র ভূমিতে বাস করে, যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বয়স ৩৭ বছরের কম। তাদের প্রযুক্তি জ্ঞানের সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও তুলে ধরেন যে, তার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিভাবে দেশের অর্থনীতি, বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য খাতগুলোকে সংস্কার করেছে, যেগুলো ক্ষমতাচ্যুত সরকার তার ১৬ বছরের শাসনামলে ধ্বংস করে দিয়েছিল।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি বিষয়ক সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র-বাসস 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ইউন স সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাউকে চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই যত দোষ’

টাইমস স্কয়ারের পিচঢালা পথ। ডিজিটাল বিলবোর্ডগুলোতে প্রদর্শিত হচ্ছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন। ব্যস্ত এ পথে চুম্বনরত অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমার তরুণ অভিনয়শিল্পী ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা ব্যানার্জি। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ঋদ্ধি সেন তার ফেসবুকে বেশ কটি ছবি পোস্ট করেন। তার একটি ছবিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। 

ব্যক্তিগত জীবনে ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন, এ খবর সবারই জানা। কিন্তু ফেসবুকে চুমুর ছবি দেওয়ায় নেটিজেনদের একাংশ বেশ নাখোশ হয়েছিলেন। অনেকে আক্রমণ করে মন্তব্য করেছিলেন। যার ফলে দ্রুত ভাইরাল হয়েছিল ছবিটি। তখন তরুণ জুটির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।

সেই সময়ে বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি সুরঙ্গনাকে। দীর্ঘ দিন পর এ নিয়ে নিজের মতামত জানালেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সুরঙ্গনা বলেন, “আমি আর ঋদ্ধি গত দশ বছর ধরে একসঙ্গে আছি, সেটা সবাই জানেন। একসঙ্গে একটা ছবি তুলেছি সেটা কেন এত সাড়া ফেলেছিল বুঝতে পারিনি। দেখেছি অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করেছেন। কী আর বলি! খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কারণ গোটা পৃথিবীটাই একটা গোঁড়ামির দিকে যাচ্ছে।”

আরো পড়ুন:

‘মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা, ছেলেরা করলে লোকে বলে— এলেম আছে’

আড়ালে গিয়ে অরিন্দমকে গালাগাল দেয়: স্বস্তিকা

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সুরঙ্গনা বলেন, “চারদিকে প্রকাশ্যে এত খারাপ ঘটনা ঘটছে, রাস্তায় কেউ কাউকে চড় মারলে অসুবিধা হয় না, চুমু খেলেই যত দোষ? দুটো মানুষ চুমু খাচ্ছে এতে অসুবিধার কী আছে? এটা তো অশ্লীল কিছু নয়।”

কলকাতার মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা কৌশিক সেনের পুত্র ঋদ্ধি সেন। এ পরিবারেও সুরঙ্গনার অবাধ আনাগোনা। এ জুটির পথচলা নিয়েও নানা গুঞ্জন উড়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন— তারা কি বন্ধু নাকি প্রেমিকযুগল? পরবর্তীতে সম্পর্কের কথা অকপটে স্বীকার করেন তারা।

ছোটবেলাতেই ঋদ্ধির অভিনয়ে হাতেখড়ি। তারপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। কেবল তাই নয়, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ঋদ্ধি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো: ‘ইতি মৃণালিনী’, ‘কাহানি’, ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ প্রভৃতি।

সুরঙ্গনা শুধু অভিনেত্রী নন তিনি একাধারে নৃত্যশিল্পী ও কণ্ঠশিল্পী। শিশুশিল্পী হিসেবে তার অভিনয়ের পথচলা শুরু। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো: ‘চিরসাথী’, ‘মাটি ও মানুষ’, ‘গয়নার বাক্স’, ‘গল্প হলেও সত্যি’ প্রভৃতি।

‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ সিনেমায় প্রথম জুটি বেঁধে অভিনয় করেন ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা ব্যানার্জি। এতে প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্রে দেখা যায় তাদের। এরপর ‘সমান্তরাল’, ‘শরতে আজ’ ওয়েব সিরিজেও জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তারা।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ