পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশ বৈঠকে দাওয়াত না দেওয়ায় হামলার অভিযোগ উঠেছে কালাইয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি জসীম পঞ্চায়েতের (৪৫) বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী সালিশদার মফিজ মাতব্বর (৪৩) বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে গ্রহণ করে।

এর আগে, একই দিন বিকেলে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কাপুরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপি নেতার হাত বিচ্ছিন্ন

কুষ্টিয়ায় মাজারে মাদক বিরোধী অভিযানে বাধা 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালাইয়া ইউনিয়নের কপুরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা জাকির হাওলাদার তার ভাতিজা মাহবুব হাওলাদার ও রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্তে গেলে দুই পক্ষ বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করবেন বলে জানান। পরে স্থানীয় মফিজ মাতব্বরকে সালিশদার মেনে উভয়পক্ষ একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে।

মঙ্গলবার বিকেলে সালিশ বৈঠক শুরু হওয়ার কিছু সময় পরেই জসীম পঞ্চায়েত তার কয়েকজন সহযোগীসহ সেখানে উপস্থিত হন। পরে সেই সালিশ পণ্ড করে মফিজ মাতব্বরকে গালাগালি ও মারধর করেন। এছাড়া, উপস্থিত অনেককে মারধরসহ হুমকি-ধমকি দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সালিশে দাওয়াত না পেয়ে জসীম ক্ষিপ্ত হন। এর আগে, তিনি নিজে সালিশ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাকে না ডেকে মফিজ মাতব্বরকে সালিশদার করা হয়। এই কারণেই তিনি হামলা চালিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে জসীম পঞ্চায়েতের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে কাজের সন্ধানে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ৬ রাজমিস্ত্রি উদ্ধার

কক্সবাজারে কাজের সন্ধানে এসে নিখোঁজ হওয়া ছয় রাজমিস্ত্রিকে উদ্ধার করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে টেকনাফের রাজারছড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। তারা সবাই সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল গ্রামের বাসিন্দা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন জানিয়েছেন, শহিদুল নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে তারা কাজের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে আসেন। শহিদুল কৌশলে তাদেরকে টেকনাফে নিয়ে যান এবং একটি বাড়িতে আটকে রাখেন।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত ১৫ এপ্রিল ছয় রাজমিস্ত্রি কাজের উদ্দেশ্যে জকিগঞ্জ থেকে কক্সবাজারে যান। কিন্তু, তাদের কারো সঙ্গেই ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, নিখোঁজ রাজমিস্ত্রিদের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর টেকনাফের রাজারছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া রাজমিস্ত্রিরা জানান, শহিদুল তাদেরকে কক্সবাজারে কাজ দেওয়ার কথা বলে নিয়ে এসে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের করার চেষ্টা করেন।

এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ