‘র্যানডম’ কাজটি হয়ে গেছে: মৌসুমী নাগ
Published: 23rd, April 2025 GMT
ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘চক্কর’ এ অভিনয় করে প্রশংসা পাচ্ছেন অভিনেত্রী মৌসুমী নাগ। আট বছর আগে তার অভিনীত ‘রানআউট’ সিনেমা মুক্তি পায়। এরপর তাকে ধারাবাহিক নাটকে দেখা গেলেও সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি। বলতে গেলে অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
মৌসুমী নাগ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মা হওয়ার পরে সন্তান ও পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য অভিনয়ে নিয়মিত হতে পারেননি। এ ছাড়া তিনি অভিনিয়ের জন্য মুখিয়েও ছিলেন না। কিন্তু কাজটি র্যানডম হয়ে গেছে।
মৌসুমী নাগ ‘চক্কর’ সিনেমাতে মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। সিনেমাতে, তিনি একজন মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সিনেমাতে তার সন্তান খুন হয়। এরপর একটি ইমোশনাল জার্নির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে।
আরো পড়ুন:
ইমনের সঙ্গী হলেন দীঘি
বাংলার কণ্ঠে বিশ্ব মুগ্ধ, আমেরিকায় রয়া চৌধুরীকে সম্মাননা
মৌসুমী নাগ বলেন, ‘‘শুটিংয়ে আমার একমাত্র কাজ ছিল সিনেমার চরিত্রের ইমোশনটা ধরে রাখা। আমার পরিবার আছে, সন্তান আছে। নিজের পরিস্থিতিকে সামনে এনে চরিত্রের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরি করেছি।’’
সিনেমায় তিনি যে চরিত্রটি ধারণ করেছেন, সেই চরিত্রটি যেন বাস্তবে কারও না হয়, এমনটাই প্রত্যাশা এই অভিনেত্রীর।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভ্যাটিকান থেকে ওড়া ধোঁয়ায় কীভাবে বোঝা যায় নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভ্যাটিকানে রোমান ক্যাথলিক গির্জার নেতা নির্বাচনের কাজটি হয়ে আসছে। কার্ডিনালদের মধ্যে একান্তে অনুষ্ঠিত সভায় ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। এ বৈঠককে ঘিরে অনেক গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। সাধারণত দায়িত্বরত পোপ মারা গেলে কিংবা পদত্যাগ করলে এর কয়েক দিন পর এই সম্মেলন হয়ে থাকে।
কার্ডিনালদের অনেকেই বিশপ ও আর্চবিশপ হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। ধর্মীয় বিষয়ে সহযোগিতার জন্য পোপই এঁদের নিয়োগ করে থাকেন। কার্ডিনালদের কেউ কেউ ভ্যাটিকানে কাজ করেন। তবে বেশির ভাগ কার্ডিনালই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছেন। সেখানে তাঁরা বিশপ ও আর্চবিশপের জন্য নির্ধারিত কাজগুলো করে থাকেন।
রোমান ক্যাথলিকদের জন্য নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটির সময় হলে বিভিন্ন দেশের ৮০ বছরের কম বয়সী কার্ডিনালরা রোমে যান। তাঁরা পৌঁছানোর পর সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা গির্জায় সকালবেলা বিশেষ একটি ধর্মীয় সমাবেশ হয়। বিকেলে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে কার্ডিনালরা পায়ে হেঁটে সিস্টিন চ্যাপেলের দিকে যান, যা কনক্লেভ নাম পরিচিত।
পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া: ১. ধর্মীয় সভা ২. কার্ডিনাল ভোটার ৩. কনক্লেভ ৪. ভোট ৫. সাদা ধোঁয়া ৬. নির্বাচিত পোপ দেখা দেবেন ব্যালকনিতেএই কনক্লেভে রুদ্ধদ্বার সভায় ভোটাভুটি হয়। ভোটাভুটির ক্ষেত্রে কঠোরভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। সিস্টিন চ্যাপেলে কোনো মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি না, তা তল্লাশি করা হয়। কার্ডিনালদেরও বলে দেওয়া হয় যে, তাঁরা যেন এ ভোটপ্রক্রিয়া নিয়ে বাইরের কারও সঙ্গে আলাপ না করেন। যদি কেউ এসব নিয়ে বাইরে আলাপ করেন তবে তাঁদের বহিষ্কার করা হবে।
আরও পড়ুনমারা গেলেন পোপ ফ্রান্সিস৩ ঘণ্টা আগেভোটাভুটি প্রক্রিয়া
সিস্টিন চ্যাপেলের ভেতর অবস্থানকারী প্রত্যেক কার্ডিনালের হাতে কাগজের ব্যালটগুলো দেওয়া হয়। সেখানে লাতিন ভাষায় লেখা থাকে-‘এলিগো ইন সুম্মুন পন্তিফিসেম’। এর অর্থ হলো, ‘আমি সর্বোচ্চ পোপ হিসেবে নির্বাচিত’। এ লেখাটির নিচে কার্ডিনালরা পরবর্তী পোপ হিসেবে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীর নাম লিখে থাকেন। তবে কার্ডিনালরা সেখানে নিজের নাম লিখতে পারেন না।
ভোট দেওয়ার পর প্রত্যেক কার্ডিনাল তাঁদের জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী একে একে তাঁদের ভাঁজ করা ব্যালট নিয়ে একটি বেদির দিকে এগিয়ে যান এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যালটটি একটি পাত্রে রাখেন।
এরপর ভোট গণনার পালা। গণনা শেষে প্রাপ্ত ফল কার্ডিনালদের পড়ে শোনানো হয়।
ভোটাভুটিতে কোনো কার্ডিনাল দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেলে তবে তিনি নতুন পোপ নির্বাচিত হন।
কেউ যদি প্রয়োজনীয় ভোট না পান তবে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ দিন পর্যন্ত দিনে চারটি করে ভোটাভুটি করা হয়। দুটি ভোটাভুটি সকালে এবং দুটি ভোটাভুটি বিকেলে করা হয়। পঞ্চম দিনটি প্রার্থনা এবং আলোচনার জন্য নির্ধারিত রাখা হয়। এরপর আরও সাত দফায় ভোটাভুটি হতে পারে। আবারও বিরতি নেওয়া হয়। এরপর প্রয়োজনে আবারও ভোটাভুটি হতে পারে এবং এ নিয়মেই চলতে থাকে।
আরও পড়ুনরোম শহরের বুকে আস্ত এক দেশ ভ্যাটিকান সিটি১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ার