জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবু সাঈদ চত্বর থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

ওই শিক্ষার্থীর নাম উজ্জ্বল মিয়া। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। পুলিশ বলছে, উজ্জ্বল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় জড়িত ছিলেন। আগের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিনের দাবি, উজ্জ্বল মিয়া ছাত্রলীগের কর্মী। গত বছরের ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালযয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঙ্গে উজ্জ্বল সরাসরি জড়িত। আজ সন্ধ্যায় শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে উজ্জ্বল চা পান করছিলেন। এ সময় ছাত্রদলের কর্মীরা তাঁকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেরদৌস রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উজ্জ্বল আবু সাঈদ চত্বরের সামনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁকে আটক করলে তিনি সেখানে যান। ‘মব জাস্টিস’ যাতে না হয়, সে জন্য তাঁকে রাত ৯টার দিকে থানা হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

ফেরদৌস রহমান জানান, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৭২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একাডেমিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, উজ্জ্বল তাঁদের একজন। তাঁকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (তাজহাট থানার উপপরিদর্শক) আজিজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্ররা উজ্জ্বলকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিলে প্রক্টর ফেরদৌস রহমান ও ছাত্র উপদেষ্টা ইলিয়াস প্রামাণিক তাঁকে নিয়ে তাজহাট থানায় যান।

উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজিজুল হক বলেন, উজ্জ্বল ১৬ জুলাই আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের দিনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জড়িত বলে এমন ছবি আছে।

তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম সরদার বলেন, জুলাই ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী পাপলু মিয়া একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব গম র ক য

এছাড়াও পড়ুন:

সিনেমার বাইরে আমাদের বাস্তব জীবন থাকে না: রণবীর

বলিউডে প্রথম সারির একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেম নিয়ে খবরে এসেছিলেন রণবীর কাপুর। যদিও ২০২২ সালে অভিনেত্রী আলিয়া ভটের সঙ্গে বিয়ে সারেন রণবীর। একবছরের মাথায় তাঁদের জীবনে আসে কন্যা রাহা। এখন স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে পুরোপুরি সংসারী রণবীর। আলিয়াকে নিয়ে করা নিয়ে সেসময় কথা উঠেছিল নানান মহলে।

বিয়ের আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, তিনি বিয়ে করতে চান কোনও অভিনেত্রীকে। তার নেপথ্যে ছিল কারণও দেখান তিনি।

২০১১ সালে ‘রকস্টার’ সিনেমা মুক্তির সময় দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন ওঠে। সে সময়ও অভিনেতা জানান, বিয়ে করলে কোনও অভিনেত্রীকেই করবেন।

কারণ হিসেবে রণবীর বলেন, ‘প্রেম যে কোনও সময় হতে পারে। কিন্তু আমার কোনও অভিনেত্রীর সঙ্গে বিয়ের সম্ভাবনাই বেশি। কারণ আমি যাদের সাথে দেখা করি এবং যোগাযোগ করি, সকলেই সিনেমার জগতের।’

তিনি বলেন, ‘সিনেমাই আমাদের জগত এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একে অপরের সঙ্গে বিয়ে করার এটাই অন্যতম প্রধান কারণ। সাধারণত, সিনেমার বাইরে আমাদের বাস্তব জীবন থাকে না।’ সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ