আগৈলঝাড়ায় র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় দুই মামলা
Published: 23rd, April 2025 GMT
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় র্যাব-৮-এর মাদকবিরোধী অভিযানে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার র্যাব-৮-এর ডিএডি শেখ রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। এতে পলাতক দু’জনসহ অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও সেগুলো বন্ধ রয়েছে।
বরিশাল র্যাব-৮-এর মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে গত সোমবার সন্ধ্যায় গোলাগুলির সময় উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের বাহেরঘাট গ্রামের রিপন মোল্লার ছেলে সিয়াম মোল্লার (১৮) নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হন একই গ্রামের খালেক মোল্লার ছেলে রাকিব মোল্লা। মাদক কারবারিদের হামলায় আহত হন র্যাব সদস্যসহ তিনজন।
নিহত সিয়াম মোল্লার চাচাত বোন কলেজছাত্রী মীম আক্তার জানান, সিয়াম কারফা আইডিয়াল কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। সোমবার সে সারাদিন ঘরেই ছিল। বিকেলে মামাত ভাই রাকিব মোল্লাকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর আমরা এ সংবাদ পাই। গতকাল দুপুর পর্যন্ত সিয়ামের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছায়নি। তার মা জোসনা বেগম ছেলের শোকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
চলতি এসএসসি পরীক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ রাকিব মোল্লার সহপাঠী আলী হোসেন বলেন, ‘আমরা সাহেবের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বারপাইকা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছি। সোমবার রাকিব আর আমি একই সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরেছি। সন্ধ্যায় শুনি রাকিব গুলিবিদ্ধ হয়।’
নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, পার্শ্ববর্তী রশিদ হাওলাদারের ছেলে দুলাল হাওলাদারের পরিত্যক্ত বাড়িতে মাদকসেবীদের নিয়মিত আড্ডা বসত। বর্তমানে ওই বাড়িতে তাঁর পরিবার থাকায় মাদকসেবীরা সেখানে বসতে পারছে না।
র্যাবের মামলার প্রসঙ্গে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উত্তর বলে দেওয়ায় হল সুপার গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের উত্তর বলে দেওয়ার অভিযোগে হল সুপার মো. আজমুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত আরও তিনজন শিক্ষককে পরবর্তী পরীক্ষাগুলো থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলার নিজমেহার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গণিত পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, হল সুপার ১২ নম্বর কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মৌখিকভাবে এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর বলে দেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে আজমুল হককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে তিনি দায় স্বীকার করেন এবং তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আযাদ হোসেন জানান, ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন শিক্ষককেও সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শাহরাস্তি থানার ওসি আবুল বাসার জানান, আজমুল হককে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।