Samakal:
2025-04-23@03:28:51 GMT

বিদেশি বিনিয়োগ আরও উন্মুক্ত

Published: 23rd, April 2025 GMT

বিদেশি বিনিয়োগ আরও উন্মুক্ত

দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং কাঠামো সংস্কার নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। নতুন নীতিমালায় বিদেশি বিনিয়োগ আরও উন্মুক্ত করা হয়েছে। আইসিএসপি (ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) লাইসেন্সে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি মালিকানা অনুমোদন করা হবে।

মঙ্গলবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এই নীতিমালা প্রকাশ করে এ বিষয়ে ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ, বিনিয়োগকারীরাসহ খাত সংশ্লিষ্ট ও সাধারণ জনগণের মতামত চাওয়া হয়েছে।
 
খসড়া নীতিমালায় তিনটি মূল লাইসেন্স ক্যাটাগরি প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের ইন্টারনেট ও টেলিকম সেবা প্রদানকারীদের জন্য দুটি এনলিস্টমেন্ট ক্যাটাগরি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব দুটি হলো- স্মল আইএসপি সার্ভিস ও স্মল টেলিকম সার্ভিস। বর্তমানের ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স), ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইডিডব্লিউ) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) লাইসেন্স মেয়াদ শেষে বাতিল হবে। এর ফলে অপারেটরদের মধ্যে সরাসরি সংযোগ প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হবে, সেবার গুণগত মান উন্নত হবে এবং খরচ কমবে।

অন্যদিকে, নতুন লাইসেন্সিং কাঠামো প্রযুক্তি-নিরপেক্ষ হবে। অপারেটররা একই লাইসেন্সের আওতায় একাধিক ধরনের সেবা দিতে পারবে, যেমন- ভয়েস, ডেটা, ইন্টারনেট, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস ও ওভার-দ্য-টপ (ওটিটি ) ডিজিটাল সার্ভিস।

নীতিমালায় আরও বলেছে, দেশের নিজস্ব কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (সিডিএন), হাইপারস্কেলার এবং ডেটা সেন্টারগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ কানেক্টিভিটি সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ট আরস

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েট ভিসিকে অপসারণের দাবিতে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে কুয়েট ভিসির অপসারণ চেয়ে নানা স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা। 

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, “স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারকে উৎখাত করে যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে অন্তর্বর্তীক সরকার দায়িত্ব নিয়েছে তা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। যে শিক্ষার্থীদের লাশের ওপর এই বিপ্লব, আজ তাদেরকে আবার মৃত্যু পথযাত্রী করা হয়েছে। কুয়েটের ঘটনা আমাদের সেই বার্তায় দেয়।”

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থী মুজতবা ফয়সাল নাঈম বলেন, “রাজনীতিমুক্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে একটি দল রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে স্থানীয় সন্ত্রাস এবং অঙ্গসংগঠন নিয়ে নিরাপরাধ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। কুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো নিরাপদ শিক্ষার্থীদের মামলা দিয়েছে ও বহিষ্কার করেছে। জুলাই বিপ্লবে দু'হাজার শহীদের রক্তের পিচ্ছিল পথ পেরিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলেও আজ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিগুলো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের মতো হ্যান্ডেল করছে। এই ভিসি পদত্যাগ করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে, অতিসত্বর তাকে বহিষ্কার করতে হবে।”

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকি আনসারী বলেন, “জুলাই বিপ্লবে আমরা রক্ত দেওয়ার প্রধান কারণ ছিল মানুষের অধিকার আদায়। ইন্টেরিম যদি আমাদের অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হয়, তবে আমরা ইন্টেরিমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে বাধ্য হবো। প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করে তাহলে আমরা আবারও জুলাই বিপ্লব সূচনা করতে বাধ্য হবো। টেকনাফ থেকে তেতুঁলিয়া, রুপসা থেকে পাটুরিয়া ছাত্রদের গণআন্দোলন গড়ে উঠবে।"

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সীমান্ত বলেন, “জুলাই বিপ্লব পরবর্তী শিক্ষার্থীদের ওপর এমন বর্বর হামলা আমাদের কাছে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। দালাল ভিসিকে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি অনুযায়ী পদত্যাগ করতে হবে। আমরা কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একত্মতা প্রকাশ করে বলতে চাই প্রয়োজনে লং মার্চ টু কুয়েট দিতে বাধ্য হবো।”

ঢাকা/ফাহিম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ