Prothomalo:
2025-04-23@03:44:32 GMT

জিনের রূপ বৈশিষ্ট্য

Published: 23rd, April 2025 GMT

আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আমি তো বহু জিন ও মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা বোঝে না। তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা দেখে না এবং তাদের কান আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা শোনে মা-এরা পশুর মতো, বরং তার চেয়েও ভই। এরাই অবহেলাকারী।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ১৭৯)

বেশ কিছু বিশুদ্ধ বর্ণনা থেকে জানা যায়, শয়তানদের জিহ্বা ও লালা আছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.

) বলেন, ‘তিনি একবার নবীজির (সা.) পেছনে ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন। হঠাৎ নবীজি তিলাওয়াতের মাঝে এদিক-সেদিক করে ফেলেন। নামাজ শেষ করে তিনি বলে ওঠেন, তোমরা যদি আমাকে আর ইবলিসকে দেখতে পেতে! আমি তাকে জাপটে ধরে তার শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করছি। এমনকি আমার বৃদ্ধাঙ্গুলি আর তর্জনীতে তার লালার শীতলতা টের পাচ্ছিলাম। আমার ভাই সুলাইমানের দোয়া না থাকলে আজ সকালে তোমরা তাকে মসজিদের খুঁটিতে বাঁধা অবস্থায় পেতে। আর মদিনার বাচ্চারা তাকে নিয়ে খেলা করত।’ (মুসলিম, হাদিস: ৫৪২)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জিনেরা তিন ধরনের। প্রথম প্রকার হলো, যাদের পাখা আছে, যার সাহায্যে তারা বাতাসে উড়তে পারে। দুই. যারা কুকুর ও সাপের বেশ ধরে থাকে। তিন. যারা এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ায়, আবার কোথাও অবস্থান করে।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, ৩,৭০২)

তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় প্রকারের জিন যদি বাসাবাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও সাপের বেশে দেখা যায় এবং বোঝা না যায়, সেটা সাপ না জিন, তা হলে সাপ হিসেবে এর অনিষ্ট থেকে বাঁচতে, সেটাকে মেরে ফেলা যাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,২৮৯)

তৃতীয় প্রকারের জিন যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়ায়। ইচ্ছে হলে কোথাও নেমে থাকতে শুরু করে। কিছুদিন বা কয়েক মাস অথবা কয়েক বছর থাকার পর আবার চলে যায়।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোরগের ডাক শুনলে তোমরা আল্লাহর কাছে রহমতের দোয়া করবে। কারণ মোরগ ফেরেশতাদের দেখতে পায়। আর গাধার ডাক শুনলে আল্লাহর কাছে শয়তানের কবল থেকে আশ্রয় চাইবে। কারণ গাধা শয়তানকে দেখতে পায়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩,৩০৩)।

আরও পড়ুনএকদল জিন পবিত্র কোরআন শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন২০ নভেম্বর ২০২৩

এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, গাধা ও কুকুর জিনদের দেখতে পায়। আল্লাহতায়ালা প্রাণীদের এমন অনেক ক্ষমতা দিয়েছেন, যা মানুষদের দেননি। নির্দিষ্ট প্রাণীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা নির্ণয় করা হয়। ভূমিকম্পের আগমন টের পেলে এসব প্রাণী খুব দ্রুত পালিয়ে বেড়ায়। এরা এমন সব আওয়াজ শোনে, যা মানুষ শুনতে পায় না। আধুনিক প্রযুক্তি এখনো এতটা উন্নত হয়নি, যা দিয়ে পৃথিবীর বুকের ভেতর প্রোথিত এসব ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত থেকে নিশ্চিতভাবে আগাম সতর্কতা লাভ করা যায়।

অথচ মানুষকে সেই সক্ষমতা দেননি। আল্লাহ তায়ালা জিন ও শয়তানদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘সে (শয়তান) ও তার দলবল তোমাদের যেভাবে দেখতে পায়, তোমরা তাদের সেভাবে দেখতে পাও না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ২৭)

আরও পড়ুনইবলিসের কাহিনি১২ মে ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বল ছ ন আল ল হ শয়ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

জিনের রূপ বৈশিষ্ট্য

আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আমি তো বহু জিন ও মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা বোঝে না। তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা দেখে না এবং তাদের কান আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা শোনে মা-এরা পশুর মতো, বরং তার চেয়েও ভই। এরাই অবহেলাকারী।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ১৭৯)

বেশ কিছু বিশুদ্ধ বর্ণনা থেকে জানা যায়, শয়তানদের জিহ্বা ও লালা আছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘তিনি একবার নবীজির (সা.) পেছনে ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন। হঠাৎ নবীজি তিলাওয়াতের মাঝে এদিক-সেদিক করে ফেলেন। নামাজ শেষ করে তিনি বলে ওঠেন, তোমরা যদি আমাকে আর ইবলিসকে দেখতে পেতে! আমি তাকে জাপটে ধরে তার শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করছি। এমনকি আমার বৃদ্ধাঙ্গুলি আর তর্জনীতে তার লালার শীতলতা টের পাচ্ছিলাম। আমার ভাই সুলাইমানের দোয়া না থাকলে আজ সকালে তোমরা তাকে মসজিদের খুঁটিতে বাঁধা অবস্থায় পেতে। আর মদিনার বাচ্চারা তাকে নিয়ে খেলা করত।’ (মুসলিম, হাদিস: ৫৪২)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জিনেরা তিন ধরনের। প্রথম প্রকার হলো, যাদের পাখা আছে, যার সাহায্যে তারা বাতাসে উড়তে পারে। দুই. যারা কুকুর ও সাপের বেশ ধরে থাকে। তিন. যারা এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ায়, আবার কোথাও অবস্থান করে।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, ৩,৭০২)

তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় প্রকারের জিন যদি বাসাবাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও সাপের বেশে দেখা যায় এবং বোঝা না যায়, সেটা সাপ না জিন, তা হলে সাপ হিসেবে এর অনিষ্ট থেকে বাঁচতে, সেটাকে মেরে ফেলা যাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,২৮৯)

তৃতীয় প্রকারের জিন যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়ায়। ইচ্ছে হলে কোথাও নেমে থাকতে শুরু করে। কিছুদিন বা কয়েক মাস অথবা কয়েক বছর থাকার পর আবার চলে যায়।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোরগের ডাক শুনলে তোমরা আল্লাহর কাছে রহমতের দোয়া করবে। কারণ মোরগ ফেরেশতাদের দেখতে পায়। আর গাধার ডাক শুনলে আল্লাহর কাছে শয়তানের কবল থেকে আশ্রয় চাইবে। কারণ গাধা শয়তানকে দেখতে পায়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩,৩০৩)।

আরও পড়ুনএকদল জিন পবিত্র কোরআন শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন২০ নভেম্বর ২০২৩

এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, গাধা ও কুকুর জিনদের দেখতে পায়। আল্লাহতায়ালা প্রাণীদের এমন অনেক ক্ষমতা দিয়েছেন, যা মানুষদের দেননি। নির্দিষ্ট প্রাণীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা নির্ণয় করা হয়। ভূমিকম্পের আগমন টের পেলে এসব প্রাণী খুব দ্রুত পালিয়ে বেড়ায়। এরা এমন সব আওয়াজ শোনে, যা মানুষ শুনতে পায় না। আধুনিক প্রযুক্তি এখনো এতটা উন্নত হয়নি, যা দিয়ে পৃথিবীর বুকের ভেতর প্রোথিত এসব ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত থেকে নিশ্চিতভাবে আগাম সতর্কতা লাভ করা যায়।

অথচ মানুষকে সেই সক্ষমতা দেননি। আল্লাহ তায়ালা জিন ও শয়তানদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘সে (শয়তান) ও তার দলবল তোমাদের যেভাবে দেখতে পায়, তোমরা তাদের সেভাবে দেখতে পাও না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ২৭)

আরও পড়ুনইবলিসের কাহিনি১২ মে ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ