হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আশুলিয়ার জোড়া লাগানো শিশু সুমাইয়া ও খাদিজার মৃত্যুর অভিযোগ তুলে দোষীদের বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়ার জিরানীবাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন শিশু দুটির বাবা-মা।
সংবাদ সম্মেলনে শিশু দুটির বাবা মো. সেলিম জানান, ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর সাভারের একটি ক্লিনিকে জোড়া লাগানো অবস্থায় তাঁর দুটি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে দীর্ঘদিন রাখা হয় তাদের। পরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে এক বছর এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ মাস রেখে চিকিৎসা করানো হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কুড়িগ্রামের জোড়া লাগানো শিশু নুহা ও নাবার সফল অস্ত্রোপচার হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে গত বছরের ৬ এপ্রিল তাঁর দুই শিশুকেও ওই হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক এ কে এম জাহিদ হোসেনের অধীনে ভর্তি করেন। তাঁর দুই শিশুর কোমরের মাঝখানে ইনফেকশন ছিল, যা ওষুধে নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দীর্ঘ আট মাস পরে কোমরে অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু দেরি হওয়ায় তাদের দু’জনেরই ব্লাড ক্যান্সার হয়ে যায়। গত ৩১ মার্চ তারা মারা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিম বলেন, গত বছরের ১৬ এপ্রিল হাসপাতালের এক অফিস আদেশে জোড়া লাগানো শিশু দুটির বিষয়টি একাডেমিক ও গবেষণাভিত্তিক হওয়ায় কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে রোগীর কেবিন ভাড়া মওকুফ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধপত্র বিনামূল্যে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থানের পর বর্তমানে হাসপাতালের দায়িত্বরত ভিসি শাহিনুল আলম এবং পরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন আগের সেই আদেশ মেনে নেননি। যে কারণে চিকিৎসা বাবদ প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ করেও তারা দুই সন্তানকে বাঁচাতে পারেনি। হাসপাতালের ভিসি ও পরিচালকের অবহেলার কারণেই তাদের দুই সন্তানকে হারাতে হয়েছে। তাই বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে হাসপাতালটির বর্তমান ভিসি ও পরিচালকের অবহেলার জন্য উপযুক্ত শাস্তি এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শাহিনুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি।
সংবাদ সম্মেলনে শিশু দুটির মা সাথী আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র অবহ ল

এছাড়াও পড়ুন:

এক বছর আগে সুইমিংপুলে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর তদন্ত দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থী সোয়াদ হকের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। গত বছরের ২২ এপ্রিল সোয়াদ হক মারা গিয়েছিলেন।

সোয়াদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এরপর তাঁর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সোয়াদ হক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ৫টি দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো সোহাদের মৃত্যুর যথাযথ কারণ তদন্তপূর্বক নির্ণয় করা। সুইমিংপুলের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করে তা পুনরায় চালু করা। সাঁতারসহ শরীরচর্চার বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও আন্তরিক হওয়া।

সুইমিংপুল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা এবং পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করা ও প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

দোয়া মাহফিলে দর্শন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি২৩ এপ্রিল ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ