ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের উপকূলে হাঙরের বিরল আক্রমণের পর এক সাঁতারুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল সোমবার হাদেরা শহরের ওলগা সৈকতে এ ঘটনা ঘটে। শহরটি তেল আবিব থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সৈকতে উপস্থিত মানুষজনের সামনেই হাঙরের আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁদের আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে দেখা যায়।

হাঙরের আক্রমণের ওই জায়গায় স্থানীয় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নিঃসৃত গরম পানি এসে সাগরের পানির সঙ্গে মেশে। সাধারণত বছরের এই সময়টাতে ওই পানিতে হাঙরে এসে জড়ো হয়। তবে সচরাচর সেগুলো মানুষের কোনো ক্ষতি করে না।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা হয়। এর পর থেকে দেশটির জলসীমায় হাঙরের প্রাণঘাতী আক্রমণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আজকের ঘটনার পর ওলগা সৈকত মানুষের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। একই সঙ্গে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তিকে সাগরে ছটফট করতে দেখা যায়। তিনি তীর থেকে কয়েক শ ফুট দূরে পানিতে ছিলেন। এ সময় সৈকতে থাকা মানুষজন ওই ব্যক্তিকে হাঙর আক্রমণ করেছে বলে চিৎকার করতে থাকেন।

আক্রমণের সময় ঘটনাস্থলে থাকা ইলিয়া মোতাই ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেটকে বলেন, ‘আমি সে সময় পানির ভেতরে ছিলাম। রক্ত দেখতে পেয়েছিলাম। চিৎকারও শুনেছি। সৈকত থেকে কয়েক মিটার দূরে ছিলাম। এটা ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতো ছিল। গতকালও (রোববার) সেখানে ছিলাম। তখনো আমাদের চারপাশে হাঙরের চলাফেরা দেখেছি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবক আমিরুল মৃধাকে (৩২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আমিরুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ জুন ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আমিরুল দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কলোনির একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মামলা করেন। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ