ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আসন্ন কাউন্সিল ঘিরে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। কারণ, কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিষয়টি দলীয় গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন জেলার নেতাকর্মীরা।
আগামী ২৮ এপ্রিল ঝালকাঠি জেলা বিএনপির কাউন্সিল হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ প্রস্তাব করা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাউন্সিলে ভার্চুয়ালি উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করার পরই চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে। আসন্ন কাউন্সিলে জেলা বিএনপির সভাপতি পদে আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহাদাত হোসেনের নাম শোনা যাচ্ছে। গত সোমবার সভাপতি পদে দলের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মাহাবুবুল হক নান্নুর নাম ঘোষণায় দলের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়েছে।

বিএনপির দলীয় গঠনতন্ত্রের ১৫ (খ) ধারায় উল্লেখ আছে, জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোনো কর্মকর্তা এবং দলীয় অঙ্গদল বা সংগঠনের কোনো সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক অন্য কোনো পর্যায়ের কমিটিতে কর্মকর্তা নির্বাচিত হতে পারবেন না।
এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় পদে থেকে আসন্ন কাউন্সিলে দুই নেতার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে সভাপতি প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর বলেন, ‘বিষয়টি রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে। এটা তারা কীভাবে কী মনে করে ঘোষণা করেছেন তা আমার বোধগম্য নয়। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকে বরিশাল বিভাগীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য নিযুক্ত হন মাহাবুবুল হক নান্নু। তিনি আবার কীভাবে কাউন্সিলের সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।’
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেনের ভাষ্য, সহসাংগঠনিক সম্পাদককে ৫ আগস্টের আগে দু-একটি ছাড়া দলীয় কর্মসূচিতে পাওয়া যায়নি। তাঁকে দাওয়াত দিলে বলতেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে, আসা যাবে না। আবার একই সময়ে এলাকার বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা যেত তাঁকে। এখন তাদের এ ধরনের সিদ্ধান্তে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন বলে দাবি করেন তিনি। কারণ দলীয় গঠনতন্ত্রে এ বিষয়ে পরিষ্কার উল্লেখ আছে। তাছাড়া তারা যাদের নিয়ে সভা করে এ ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের কাউন্সিলে ভোটাধিকার নেই। তারা বিগত দিনে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে থাকার ছবি দেখাতে পারবেন না। ৫ আগস্টের আগে কোথায় ছিলেন তারা?

বিষয়টি নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, ‘আজ (২১ এপ্রিল) বিএনপির নেতাকর্মীকে নিয়ে সভার আয়োজন করি। এতে সর্বসম্মতিক্রমে জেলা কাউন্সিলে আমাকে সভাপতি এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নুকে সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’ সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন তারা তো কাউন্সিলের ভোটার না। তাদের সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় পদে থেকে প্রার্থী হতে পারেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলা কমিটিতে প্রার্থী হতে বাধা নেই। গঠনতন্ত্রে এ রকম কোনো বাধা আছে বলে মনে হয় না।
বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু জানান, বিগত পকেট কমিটি নিয়ে দ্বিমত আছে। অনেকেই বঞ্চিত। তাই সবার মতামতের ভিত্তিতে ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিল হবে। বিগত কমিটি একতরফা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের নিয়েই কমিটি করতে কাজ করছেন ঝালকাঠির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক হায়দার আলী লেলিন ভাই।’ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং বিভাগীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য হয়ে আপনি জেলা কাউন্সিলের প্রার্থী হতে পারেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নান্নু বলেন, ‘একাধিক প্রার্থী, বহুত্ববাদ থাকবেই। এটাই গণতন্ত্র। দল কোনো ব্যক্তি ইচ্ছায় চলে না। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।’
বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক হায়দার আলী লেলিনের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, বিগত কমিটিতে কিছু ত্রুটি ছিল। তাই নিয়ে কিছু দ্বন্দ্ব মতবিরোধ সৃষ্টি হতেই পারে। এসব সমাধান করেই এগিয়ে যেতে হচ্ছে। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল ও মাহাবুবুল হক নান্নুর কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার কোনো সংবাদ জানা নেই।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ম হ ব ব ল হক ন ন ন কম ট র সদস য গঠনতন ত র ব এনপ র স প রস ত ত ল ইসল ম কম ট ত ব ষয়ট হওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্ধারিত সময়ে জাকসু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পথনকশা অনুযায়ী গত ১ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্রসংগঠনগুলোর মতবিরোধের কারণে কর্তৃপক্ষ তফসিল ঘোষণা করতে পারেনি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হবে। তফসিল ঘোষণা হবে নির্বাচনের ২১ দিন আগে (৩০ এপ্রিল)। তবে নির্ধারিত সময়ে তফসিল ঘোষণা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ বক্তব্য অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার মাত্র ১০ দিন বাকি। কিন্তু জাকসুর গঠনতন্ত্র এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং যাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের নামও প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

যদি কোনো অজুহাত দেখিয়ে আবারও তফসিল ঘোষণা বা নির্বাচন আয়োজন পেছানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে এর পরিণতি শুভ হবে না।‘গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের’ আহ্বায়ক আবদুর রশিদ

যদিও ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রকাশ, পরিবেশ পরিষদ গঠনসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হলে হলে মতবিনিময় সভাও হয়েছে। বিভিন্ন অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্র সংস্কারের বেশ কিছু প্রস্তাবও তৈরি করেছে কর্তৃপক্ষ। এসব প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের কাছে লিখিত চিঠি দিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। ১৭ এপ্রিল ছিল মতামত দেওয়ার শেষ দিন।

১৯৭২ সালে জাকসু প্রতিষ্ঠিত হয়। সে বছরই হয় প্রথম নির্বাচন। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ১৯৯২ সালে। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাকসু নির্বাচনের দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, আমরণ অনশনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ৩০ ডিসেম্বর জাকসু নির্বাচনের পথনকশা ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ বক্তব্য অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার মাত্র ১০ দিন বাকি। কিন্তু জাকসুর গঠনতন্ত্র এখনো চূড়ান্ত হয়নি।শিক্ষার্থীদের সন্দেহ, আশাবাদী কর্তৃপক্ষ

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম প্রথম আলোকে বলেন, রোডম্যাপ ঘোষণার পর একটি সংগঠনের বিরোধিতার কারণে কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ে তফসিল ঘোষণা করতে পারেনি। নতুন করে প্রশাসন যে তারিখ দিয়েছে, তার মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে তাঁরা আশা রাখতে চান। তবে এর আগে যেসব কাজ হওয়ার কথা, সেগুলো প্রশাসনের দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার। আর কোনো অজুহাতে জাকসু নির্বাচন পিছিয়ে যাক, সেটা তাঁরা চান না।

ক্যাম্পাসে সক্রিয় ‘গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের’ আহ্বায়ক আবদুর রশিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল গঠনতন্ত্র সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি যথাসময়ে সম্পন্ন করা হবে। ১০ এপ্রিলের মধ্যে তফসিল ঘোষণার নির্দিষ্ট তারিখ জানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কর্তৃপক্ষের দিক থেকে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি। যদি কোনো অজুহাত দেখিয়ে আবারও তফসিল ঘোষণা বা নির্বাচন আয়োজন পেছানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে এর পরিণতি শুভ হবে না।’

প্রশাসন একটা সময় দিয়েছে যে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হবে। এটা প্রশাসন বলেছে, নির্বাচন কমিশন বলেনি। এ ছাড়া গঠনতন্ত্র সংস্কারের পর সেটি আমাদের কাছে দেওয়া হবে। এরপর আমরা সেটা নিয়ে বসব এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তারিখ জানাতে হবে।নির্বাচন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান

এ বিষয়ে জাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাশিদুল আলম সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, গঠনতন্ত্র সংস্কারের প্রস্তাবনায় অংশীজনের মতামত শেষে ২০ এপ্রিল আলোচনায় বসে একটি চূড়ান্ত খসড়া করা হবে। খসড়া উপাচার্যের কাছে দেওয়া হবে। এরপর সিন্ডিকেটে তোলা হবে। নির্ধারিত সময়েই তফসিল ঘোষণার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘প্রশাসন একটা সময় দিয়েছে যে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হবে। এটা প্রশাসন বলেছে, নির্বাচন কমিশন বলেনি। এ ছাড়া গঠনতন্ত্র সংস্কারের পর সেটি আমাদের কাছে দেওয়া হবে। এরপর আমরা সেটা নিয়ে বসব এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তারিখ জানাতে হবে। এরপর আমরা তফসিল কবে ঘোষণা করতে পারব, সেটি জানাতে পারব।’

জাকসু নির্বাচনের জন্য সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগোচ্ছে। সবাই একমত হলে নির্ধারিত সময়ে তফসিল ঘোষণা করতে পারব।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান ছাত্রসংগঠনগুলোর মতবিরোধ

রোডম্যাপ ঘোষণার শুরু থেকেই ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), আধিপত্যবাদবিরোধী মঞ্চ, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন পথরেখা অনুযায়ী নির্বাচন দাবি করছিল। অন্যদিকে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কিছু বিষয় সংস্কার করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে জাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারের কাজ এগিয়ে নেওয়াসহ বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এখনো ছাত্রসংগঠনগুলোর মতবিরোধ কাটেনি।

একটি ভালো ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হতে হলে যৌক্তিক সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন ছাত্রদলের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি হতে হলে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন, যা আমরা লক্ষ করিনি।’

ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একাংশের সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি বলেন, নির্বাচন এগিয়ে নিতে প্রশাসন যে কাজ করছে, সেটিকে সাধুবাদ জানান তাঁরা। তবে পাশাপাশি প্রশাসন থেকে আওয়ামী দোসরদের সরাতে হবে এবং গত ১৫ বছরের সব দুর্নীতির তদন্তকাজও এগিয়ে নিতে হবে। জাকসু নির্বাচনের পাশাপাশি সিনেট, সিন্ডিকেট ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনেরও উদ্যোগ নিতে হবে।

সার্বিক বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাকসু নির্বাচনের জন্য সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগোচ্ছে। সবাই একমত হলে নির্ধারিত সময়ে তফসিল ঘোষণা করতে পারব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশিত
  • নির্ধারিত সময়ে জাকসু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা