বার্সেলোনাকে হারিয়েই জোড়া শিরোপা জিততে চান আনচেলত্তি
Published: 22nd, April 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে হতাশাজনক বিদায়ের পর রিয়ালের চোখ এখন জোড়া শিরোপার দিকে। লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার পাশাপাশি রিয়ালের চ্যালেঞ্জ কোপা দেল রে জেতারও।
এ দুটি শিরোপা জিততে পারলে এখন পর্যন্ত হতাশায় কাটানো মৌসুমটা আনন্দের সঙ্গে শেষ করতে পারে ‘লস ব্লাঙ্কোস’রা। কাজটা অবশ্য সহজ নয়। এ দুটি শিরোপা জয়ে রিয়ালের সামনে সবচেয়ে বড় বাধার নাম চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা।
শুরুতেই বলা যাক কোপা দেল রে’র প্রসঙ্গে। আগামী শনিবার রাতে কোপা দেল রের ফাইনাল মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল-বার্সা। এর আগে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সার কাছে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল রিয়াল।
আরও পড়ুনবার্সাকে জবাব দেওয়া ‘কামব্যাকে’ শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকল রিয়াল ২১ এপ্রিল ২০২৫একইভাবে লা লিগায় প্রথম লেগের ম্যাচে নিজেদের মাঠে রিয়াল বিধ্বস্ত হয়েছিল ৪-০ গোলে। এখন শিরোপা জয়ের পাশাপাশি এই দুই হারের শোধ নেওয়ার সুযোগও আছে রিয়ালের সামনে।
বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক ও রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।