শতবর্ষী রাস্তার ওপর সবজি চাষ আওয়ামী লীগ নেতার
Published: 22nd, April 2025 GMT
চারঘাটের সরদহ ইউনিয়নের খোর্দগোবিন্দপুর মাঠপাড়ার গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে শত বছর ধরে গ্রামের মানুষ চলাচল করছেন। রাস্তাটি পাকা করতে দরপত্রও করা হয়েছে। সেই রাস্তার জমি নিজের দাবি করে পটোল রোপণ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সমজান আলী। এতে মানুষের চলাচল ও মাঠের ফসল পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এক যুগে কয়েক দফা কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় শতবর্ষী মাটির রাস্তাটির সংস্কার করা হয়। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দরপত্র হয়েছে। এর মধ্যে পাশের জমির মালিক সমজান আলী শ্রমিক দিয়ে রাস্তা কেটে ফসলি জমি বানিয়েছেন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হলেও গত পাঁচ আগস্টের পর থেকে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, দৈর্ঘ্যে ১২০ ফুট ও প্রস্থে ৪ ফুট অংশ কেটে নিজের জমির সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন সমজান আলী। সেখানে পটোল রোপণ করা হয়েছে। ১৩ ফুট প্রস্থের সড়ক থেকে আরও ৪ ফুট কেটে নেওয়া হবে বলে স্থানীয়দের জানিয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় প্রকৌশল বিভাগের রাস্তা পাকাকরণ কাজ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। স্থানীয়রা বাধা দিলেও রাস্তা কাটা বন্ধ না করে উল্টো হুমকি দেন সমজান আলী।
স্থানীয় ষাটোর্ধ্ব রেজাউল করিম বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের দরপত্র হয়েছে। এখন সেই রাস্তার বেশির ভাগ অংশ নিজের দাবি করে কেটে ফেলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সমজান আলী।
নাইমুর রহমান বলেন, বাবা-দাদা সবাই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছেন। এখন শত শত মানুষের চলাচল। মাঠপাড়ার ফসল ভ্যান, ট্রলি ও মিনি ট্রাকে করে এই রাস্তা দিয়ে বাজারে নেওয়া হয়। কাউকে কিছু না জানিয়ে রাস্তাটি কেটে ফেলা হলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।
সমজান আলী বলেন, রাস্তার বেশির ভাগ অংশই আমার জমিতে। এ জন্য কিছু অংশ কেটে নিয়েছি। শুধু আমি রাস্তায় জমি দেব– তা হবে না। অন্যদেরও দিতে হবে। জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজপত্র এখন কাছে নেই। তবে স্থানীয় আমিন সুবল চন্দ্র ছয় মাসে দুই দফা জমি পরিমাপ করেছে। মাপ অনুযায়ী রাস্তার বেশির ভাগ অংশ আমার জমিতে পড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় আমিন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র বলেন, জমিটি দেড় থেকে দুই বছর আগে পরিমাপ করেছি। কিছু অংশ রাস্তার ভেতরে ছিল। রাস্তাটি এখন সরকারি সম্পদ। তাই সমজান আলী জমি নিতে পারবে না– এ তথ্য তাঁকে জানানো হয়েছিল।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন বলেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শুনানির নোটিশ করা হয়েছে। কাগজপত্র নিয়ে সমজান আলীকে আসতে বলা হয়েছে। তবে কোনো জমি ব্যক্তির সম্পত্তি হলেও ২০ বছর সেখানে মানুষজন হাঁটলেই তা সরকারি হয়ে যাবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আফ্রিকার লেসোথোতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে দেশি কোম্পানি ড্রিম ৭১
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং লেসোথো সরকারের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘রিনিউয়েবল লেসথো: অ্যাকসেস টু অ্যাফরডেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি’ প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ পেয়েছে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ড্রিম ৭১ বাংলাদেশ লিমিটেড।
গত জানুয়ারিতে ইউএনডিপি থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশগ্রহণ করে দেশি এই প্রতিষ্ঠানটি। দরপত্রের চূড়ান্ত যাচাই বাছাই শেষে আর্থিক এবং কারিগরি প্রস্তাবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর ইউএনডিপির সঙ্গে ড্রিম ৭১-এর চূক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২০২৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
প্রকল্পটির আওতায় ড্রিম ৭১ নিরাপদ ও ওয়েব-ভিত্তিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে, যা ই-টেন্ডারিং, ডেটা ম্যানেজমেন্ট, বাস্তব-সময়ের নজরদারি এবং জিও-স্পেশিয়াল বিশ্লেষণ সেবা প্রদান করবে।
ড্রিম ৭১ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব রাশাদ কবির বলেন, এ প্রকল্পে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। এটি বাংলাদেশের সাফল্য। আমরা বিশ্বাস করি, টেকসই প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশের প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। লেসোথোর মানুষের জন্য এই প্ল্যাটফর্ম একটি শক্তিশালী পরিবর্তনের বাহক হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি