Samakal:
2025-04-22@20:44:40 GMT

ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ

Published: 22nd, April 2025 GMT

ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। অথচ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব হলে এ রোগের চিকিৎসা করা সহজে সম্ভব হয়। পাশাপাশি এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভের সম্ভাবনাও অনেকাংশে বেড়ে যায়। ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গের ব্যাপারে সবাই একটু সচেতন হলে এর চিকিৎসা অনেক সহজ হয়ে যায়। ক্যান্সারের সাধারণত যেসব উপসর্গ আছে, সেগুলোর ব্যাপারে বেশির ভাগ মানুষই সচেতন নন, এমনকি অবগতও নন।
অনেক সময় দেখা যায়, একজন ব্যক্তি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্যান্সার ধরা পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ রোগের প্রাথমিক উপসর্গ আগেই দেখা দিয়েছিল, কিন্তু তিনি সেগুলো গুরুত্ব দেননি। পরে দেখা গেল, ক্যান্সার ইতোমধ্যে তাঁর শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তখন আর রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সুতরাং এসব প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
গলাব্যথা (চিকিৎসার পরও ভালো হচ্ছে না), গলার স্বর পরিবর্তন হওয়া।
কোনো অস্বাভাবিক রক্তপাত (টয়লেটের সঙ্গে, বমির সঙ্গে, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত)।
শরীরের যে কোনো জায়গায় ব্যথা বা ফোলা।
প্রস্রাব বা পায়খানার পরিবর্তন।
দীর্ঘমেয়াদি কাশি (দুই-তিন সপ্তাহ কাশি, যা চিকিৎসার পরও ভালো হয় না)।
খাবার হজমে সমস্যা বা খাবার গিলতে সমস্যা হয়।
শরীরে যদি কোনো তিল বা ক্ষত হঠাৎ করে পরিবর্তন হয়ে যায়।
অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস।
মুখের পরিবর্তন, যেমন– ঘা, রক্তপাত, ব্যথা বা অসাড়তা।
ঘন ঘন জ্বর, রাতে ঘাম।
অতিরিক্ত ক্লান্তি লাগা, যা বিশ্রাম নিলেও কাটে না। 
দেখা বা শুনতে সমস্যা। 
খাদ্যে অরুচি, খিদে না পাওয়া। 
ত্বকে পরিবর্তন, যেমন– ত্বক কালো হয়ে যাওয়া, ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি ইত্যাদি।
এসব ছাড়াও ক্যান্সারের আরও অনেক অস্পষ্ট উপসর্গ আছে, যেগুলো থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই। এ কারণে শরীরে যদি বড় কোনো ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, বিশেষ করে এটি যদি দীর্ঘ সময় ধরে হয় বা খারাপ হতে থাকে, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। 
লেখক : মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ট্রেনিং-রিসার্চকে গুরুত্ব দিতে হবে’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য সার্ভিস, ট্রেনিং এবং রিসার্চকে গুরুত্ব দিতে হবে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শেরেবাংলা নগরস্থ জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স রুমে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ফিজিক্যাল স্ট্রাকচার মোটামুটি একটি পর্যায়ে এসেছে। এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ফাংশনাল দিক উন্নত করা। এটাকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা। সেক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য এ ইন্সটিটিউটের ম্যান্ডেট হচ্ছে সার্ভিস, ট্রেনিং এবং রিসার্চ। এই তিনটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা যখন সাইকিয়াট্রিতে আসি- তখন অনেকে বলতেন সাইকিয়াট্রিস্ট বাই চান্স। কিন্তু এখন অবস্থাটা পুরো পাল্টে গেছে। এখন সাইকিয়াট্রিস্ট বাই চয়েস। এটা হচ্ছে সবচেয়ে সম্ভাবনার দিক।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের আধুনিক সময়ের মানুষদের পরিচয় হচ্ছে বহুমাত্রিক। আমাদের রাজনৈতিক, ধর্মগত, জাতিগত, পেশাগত পরিচয় রয়েছে। কিন্তু যখন আমরা নিজেদের সাইকিয়াট্রিস্ট বলি তখন কিন্তু আমরা এই পরিচয়টাকে হাইলাইটস করি। ফলে সেটাই ঐক্যের সূত্র হবে। এটা হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই আমরা এ জাতির মেন্টাল উন্নয়নের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করতে পারবো। আমরা তখনই ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, যখন সম্মিলিত স্বপ্ন থাকে। সম্মিলিত কোন স্বপ্ন ছাড়া কখনো ঐক্যবদ্ধ হওয়া যায় না। সাইকিয়াট্রিতে আমরা এমন সমস্যা ডিল করি যা একান্তই ব্যক্তিগত। ফলে সেক্ষেত্রে সাইকিয়াট্রিস্টদের বেশি এ্যথিক্যাল হওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যই একজন সাইকিয়াট্রিস্ট হিসেবে একজন ভালো মানুষ হওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি‌‌।”

সাইকিয়াট্রি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, “আশা করব- আপনাদের প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট ডাইমেনশন হিসেবে এই দিকটার প্রতি নজর রাখবেন। যেন আমরা ভালো, দক্ষ সাইকিয়াট্রিস্ট হওয়ার পাশাপাশি সত্যিই একজন এ্যথিক্যাল মানুষ হয়ে উঠতে পারি।”

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার হেদায়েতুল ইসলাম, অধ্যাপক ডাক্তার মো. এনায়েত করিম, অধ্যাপক ডাক্তার মো. নিজাম উদ্দিন, অধ্যাপক ডাক্তার ওয়ালিউল আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক কামরুল হাসান, ডাক্তার তৈয়বুর রহমান রয়েল, ডাক্তার আহসানউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

ঢাকা/এএএম/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈরুতে ইসরায়েলি হামলা, ইসলামপন্থী নেতা নিহত
  • নেতৃত্বশূন্য পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ কী
  • পদ্মাপাড়ের মাটি বিক্রি করছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা, হুমকিতে পুলিশ একাডেমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা
  • যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীও মনে করেন, ট্রান্স নারী মানেই নারী নন
  • সিটি কলেজের স্থাপনায় হামলা পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
  • মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ
  • শাশুড়িকে নারীর চোখে ‘দানব’ বানায় কে
  • সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে সময় বাড়ানো হলো আরও ৬ মাস
  • ‘মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ট্রেনিং-রিসার্চকে গুরুত্ব দিতে হবে’