বাগেরহাটে ৬ ককটেল উদ্ধার, শ্রমিক দল নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৮
Published: 22nd, April 2025 GMT
বাগেরহাটের একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে শ্রমিক দলের এক নেতাসহ ১৮ জনকে ছয়টি ককটেলসহ গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
সোমবার (২১ এপ্রিল) গভীর রাতে সদর উপজেলার হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার মোড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে বাগেরহাট সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গৌতম কুমার মন্ডল বাদী হয়ে বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। এতে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
আরো পড়ুন:
কৃষি জমিতে ‘বোমা বিস্ফোণ’, কৃষক আহত
শরিয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মো.
মামলা সূত্রে জানা যায়, হযরত খানজাহান আলীর মাজার সংলগ্ন মোড়ে হোটেল জারিফে (আবাসিক) সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। সেখান থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতকারীকে ককটেলসহ আটক করে তারা। এসময় ২-৩ জন পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক জব্দকৃত অবিস্ফোরিত ককটেল হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেন, এলাকায় আধিপত্য ও দখলবাজির জন্য হোটেলে ককটেল নিয়ে তারা গোপন বৈঠক করছিলেন।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, “শহরে আধিপত্য বিস্তার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার মোড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে গোপন বৈঠককালে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। তাদের কাছ থেকে ৬টি ককটেল উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে।”
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র ককট ল
এছাড়াও পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে মাজার কমপ্লেক্স ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হযরত খাজা কালু (র.) মাজার, মসজিদ ও এতিমখানার দানবাক্স ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে উপজেলার উত্তরসলিমপুর এলাকায় মাজার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করে পরিচালনা কমিটি। তাদের দাবি, দানবাক্স ভাঙচুর ও এতিমখানার দান করা মালামাল লুট করার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। মুতাওয়াল্লি দাবি করা একটি পক্ষ এই লুটপাট চালিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হযরত কালুশাহ (র.) মসজিদ-মাজার ওয়াকফ স্টেটের সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুদ্দৌলা সাওদাগর জানান, তাদের ওয়াকফ স্টেট সাতটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। গত ৭ এপ্রিল দুপুরে মুতাওয়াল্লি দাবি করে খন্দকার শওকত আলী ও মোহাম্মদ আলী নামে দুই ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী নিয়ে মাজার কমপ্লেক্স এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়ে মাজার কমপ্লেক্স এলাকার কার্যালয় ও দানবাক্স ভাঙচুর চালায়। তারা দান করা অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। লুটপাটকারীরা ৭ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মসজিদ মাজার ও এতিমখানায় দানকৃত অর্থ, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি আত্মসাৎ করে। এমনকি এতিমখানায় ছাত্রদের জন্য রান্না করা খাবারও নিয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও লুটপাটের সিসিটিভি ফুটছে তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। এ ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল সীতাকুণ্ড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। লুট হওয়া অর্থসহ যাবতীয় মালামাল দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানান তিনি।
মাজার কমপ্লেক্সের সভাপতি সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, হযরত কালুশাহ মাজার ওয়াকফ এস্টেট নিয়ে একটি পক্ষ নিজেদের মুতাওয়াল্লি দাবি করছেন। এ বিষয় নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বর্তমান কমিটি মাজার কমপ্লেক্স পরিচালনা করছেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, সীতাকুণ্ড থানা এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন।