ঝিনাইদহ সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
Published: 22nd, April 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ১১ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি। তারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরিশাল জেলার আগৈলঝাড় থানার বাহাদুরপুর গ্রামের হলধর মল্লিককের ছেলে কৃষ্ণ মল্লিক (৬০) ও একই গ্রামের কালি পদ বালার ছেলে রুনু মল্লিক (৫৫), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পলাশপোল গ্রামের আতিয়ার হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২১), নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামের ছয়ফাল কাজীর ছেলে রিপন কাজী (৩০), নড়াইল সদর উপজেলার বড়গাতি গ্রামের ইদ্রীস শেখের ছেলে নাজমুল শেখ (৩২) ও একই গ্রামের ওহাব শেখের ছেলে সোহেল শেখ (২৬)। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুইজন শিশু রয়েছে।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় দেড় কেজি স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
সুনামগঞ্জে ভারতীয় কসমেটিক্স ও বিস্কুট জব্দ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মহেশপুর উপজেলার নিমতলা, মাধবখালী, বেনীপুর, কুসুমপুর ও বাঘাডাংগা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা দালালচক্রের সহায়তায় সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টায় করছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদের মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবক আমিরুল মৃধাকে (৩২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আমিরুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ জুন ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আমিরুল দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কলোনির একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য।