পিচের সমালোচনা করায় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে ও সাইমন ডুলকে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে নিষিদ্ধ করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) নাকি বেশ কড়া ভাষায় চিঠি পাঠিয়েছিল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি)।

গতকাল রাতে ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স–গুজরাট টাইটানস ম্যাচে ভোগলে ও ডুলকে ধারাভাষ্য দিতে না শুনে অনেকে হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন সিএবির চিঠি পেয়ে তাদের অনুরোধ কার্যকর করেছে বিসিসিআই।

খবরটা কানে পৌঁছানোর পর হার্শা ভোগলে নিজেই এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন। তাঁর দাবি, তাঁকে ইডেনে নিষিদ্ধ করা হয়নি। বরং কালকের ম্যাচে ধারাভাষ্যকারদের তালিকায় আগে থেকেই তাঁকে রাখা হয়নি বলেই কলকাতায় যাননি। তবে আরেক ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল এখনো এ ব্যাপারে কিছু জানাননি।  

৬৩ বছর বয়সী ভোগলে আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘গতকাল কলকাতার ম্যাচে আমি কেন ছিলাম না, তা নিয়ে বেমানান কথাবর্তা বলা হচ্ছে। সহজভাবে বলতে গেলে, আমাকে যে ম্যাচগুলোতে থাকতে (ধারাভাষ্য দিতে) বলা হয়েছে, সেই তালিকায় ওই ম্যাচ ছিল না। এ ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞেস করলেই কোনো ধরনের ভুল–বোঝাবুঝি হতো না। কারা কোন ম্যাচে ধারাভাষ্য দেবেন, সেই তালিকা টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই তৈরি করা হয়। (আইপিএলের এবারের মৌসুমে) কলকাতায় আমাকে দুটি ম্যাচে তালিকায় আমাকে রাখা হয়েছিল। প্রথমটিতে আমি সেখানে ছিলাম। কিন্তু পরিবারের একজনের অসুস্থতার কারণে দ্বিতীয়টিতে থাকতে পারিনি।’

ভোগলে–ডুলের সঙ্গে সিএবির দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় গত ২২ মার্চ ইডেনে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের পর। প্রথম ম্যাচেই বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে ৭ উইকেটে হেরে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। নিজেদের মাঠে খেলেও পিচ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা না পাওয়ায় সমালোচনা করেছিলেন ভোগলে ও ডুল। এ নিয়ে ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখার্জীর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান এই দুই ধারাভাষ্যকার।

পরে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভোগলে বলেন, ‘আমি কেকেআরের ক্যাম্পে থাকলে তিনি (সুজন মুখার্জী) যা বলেছেন, সে জন্য প্রচণ্ড অখুশি হতাম। কারণ, আমি ১২০ রানের পিচ চাচ্ছি না। আমার চাওয়া এমন পিচ দেওয়া হোক, যেখানে স্বাগতিক দলের বোলাররা ম্যাচ জেতাতে পারে।’

ডুল বলেন, ‘ঘরের দল যেটা চায়, সেটা তিনি (সুজন মুখার্জী) না শুনলে.

..আমি বোঝাচ্ছি, তারা স্টেডিয়াম ফি দিচ্ছে, আইপিএলে যা হচ্ছে সেটারও খেসারত দিতে হচ্ছে। কিন্তু ঘরের দল যেটা চায়, তিনি যদি তা পাত্তা না দেন, তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া হোক। ম্যাচ নিয়ে মন্তব্য করা তাঁর কাজ নয়। সে জন্য তাঁকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না।’

ইডেন গার্ডেনের পিচ নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন হার্শা ভোগলে ও সাইমন ডুল

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবক আমিরুল মৃধাকে (৩২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আমিরুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ জুন ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আমিরুল দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কলোনির একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মামলা করেন। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ