ভ্যান সার্ভিসের কর্মীদের সড়কে আবর্জনা ফেলার ভিডিও ভাইরাল, কী ঘটেছিল
Published: 22nd, April 2025 GMT
বাসাবাড়ি থেকে সংগ্রহ করে আনা গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনা ভ্যান থেকে সড়কে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সড়ক ভরে গেছে বর্জ্যে। এতে যানবাহন চলাচলে ঘটছে বিঘ্ন। আবর্জনায় ভরা সড়কের একটি লেন দিয়ে কোনোমতে চলছে যানবাহনগুলো।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটি রাজধানীর প্রগতি সরণির নতুনবাজার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকার। ভ্যান সার্ভিসের কর্মীরা বাসাবাড়ি থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসা বর্জ্য সড়কে ফেলেছেন।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে ভ্যান সার্ভিসের কর্মীদের প্রশ্ন করতে শোনা যায়, ‘রাস্তায় ময়লা ফেলছেন কেন? আপনাদের কী বেতন হচ্ছে না?’ তখন পাশ থেকে একজনকে বলতে শোনা গেছে, ‘বেতন দিচ্ছে না, আবার ডাস্টবিনও.
বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওয়ার্ড এলাকার বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা অস্থায়ী বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে (এসটিএস) নিয়ে আসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পরে সেগুলো ডাম্প ট্রাক কিংবা কম্পেক্টর ট্রাকের মাধ্যমে আমিনবাজারের স্থায়ী বর্জ্য অপসারণ কেন্দ্র বা ল্যান্ডফিলে নেওয়া হয়। নতুন বাজারের ওই এসটিএসে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৩–এর ১৮ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং অঞ্চল-৯–এর ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসাবাড়ির ময়লা–আবর্জনা অপসারণ করা হয়।
সড়কে আবর্জনা ফেলে দেওয়ার বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এসটিএসে জমা করা আবর্জনা পে-লোডার যন্ত্রের মাধ্যমে ট্রাকে ওঠানো হয়। বাসাবাড়ি থেকে দিনভর আবর্জনা আনার পর এ কাজটি করা হয় বিকেল থেকে রাতের মধ্যে। কিন্তু গতকাল সোমবার রাতে ওই এসটিএস থেকে আবর্জনা আমিনবাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পে-লোডার যন্ত্রটিতে ত্রুটি দেখা দেয়। এতে ওই এসটিএস আবর্জনায় ভরে যায়। যে কারণে বাসাবাড়ি থেকে আবর্জনা নিয়ে এসে এসটিএসে রাখতে না পেরে ভ্যান সার্ভিসের কর্মীরা সড়কে ফেলে দেন।
আবর্জনায় ভরা সড়কের একটি লেন দিয়ে কোনোমতে চলছে যানবাহনগুলোউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ য ন স র ভ স র কর ম বর জ য
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবক আমিরুল মৃধাকে (৩২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আমিরুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ জুন ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আমিরুল দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কলোনির একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য।