‘মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সংস্কার হচ্ছে, ভাঙচুর নয়’
Published: 22nd, April 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ভাঙার কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পরে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের কয়েকটি অংশের ইট খুলে ফেলা হয়েছে, স্তম্ভের ওপর ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙা অংশ। কিছু অংশের প্লাস্টারও খসে পড়েছে। এমন ভিডিও দেখে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে জনমনে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ভাঙা হচ্ছে না। এখানে চলছে সংস্কার কার্যক্রম।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে একটা ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, মানুষকে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে।”
রাশেদ আহসান বলেন, ‘‘মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের আধুনিকায়ন নামের একটি প্রকল্পের আওতায় একটি দুই তলা মাল্টিপারপাস ভবন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মূল স্মৃতিসৌধের জরাজীর্ণ ইটের গাঁথুনি পরিবর্তন, সামনের প্লাজার জরাজীর্ণ পেভমেন্টের ইট এবং টাইলসের পরিবর্তন করা হবে।”
“এতে স্মৃতিসৌধের মূল নকশার কোনো পরিবর্তন করা হবে না। বর্তমান যে নকশা আছে তাতেই স্মৃতিসৌধের আধুনিকায়ন করা হবে।”
তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে একটা ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, মানুষকে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে। মূলত ব্যবহারজনিত কারণে স্মৃতিসৌধ, সামনের প্লাজার সিরামিকের ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে সৌধের সিরামিকের ইটগুলো সরিয়ে নতুন ইট বসানো হবে। কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। এ কারণে চারপাশে ড্রেন করতে হবে, এই ড্রেন থেকে আবার প্লাজা কিছুটা উঁচু করতে হবে।”
“একটা মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ হচ্ছে, যেখানে একটা লাইব্রেরি কাম রেস্ট রুম থাকবে। যখন প্রোগ্রাম হয় তখন মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে আসেন। উনাদের রেস্ট নেওয়া, ফ্রেশ হওয়ার জন্যই ওই রুমটা ব্যবহার করতে পারবেন।”
রাশেদ আহসান বলেন, “এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে গত বছরের নভেম্বর মাসে, আগামী জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ১১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কুশলী নির্মাতা লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান।”
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবক আমিরুল মৃধাকে (৩২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আমিরুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ জুন ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আমিরুল দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কলোনির একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য।