কাশ্মীরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২০ জন নিহত হওয়ার শঙ্কা
Published: 22nd, April 2025 GMT
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে আজ মঙ্গলবার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৫ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত আটজন।
পহেলগামের বৈসারন উপত্যকায় তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তবে ভারত সরকার হামলাকারীদের সন্দেহভাজন জঙ্গি বলে জানিয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়, এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেসিস্ট্যান্স’ নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গোষ্ঠীটি এই ঘোষণা দেয়। তবে বিষয়টি বার্তা সংস্থার পক্ষ থেকে স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার খবর পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তড়িঘড়ি শ্রীনগর রওনা হয়েছেন। এর আগে তিনি টেলিফোনে কথা বলেন সৌদি সফররত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। গোটা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হচ্ছে হেলিকপ্টার।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রিসোর্টটিতে পৌঁছাতে গেলে হয় হেঁটে যেতে হয়, নয়তো ঘোড়ায়। নিরিবিলি পরিবেশ হওয়ায় ওই রিসোর্ট পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
ভারতে জঙ্গি হামলায় আহত ব্যক্তিদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার, কাশ্মীর.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সশস ত র গ ষ ঠ হয় ছ ন র খবর
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবক আমিরুল মৃধাকে (৩২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আমিরুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ জুন ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আমিরুল দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কলোনির একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য।