কলম ও কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও পরমাণু ভবনে বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ সময় বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পরমাণু শক্তি কমিশনের স্বায়ত্তশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘অযাচিত হস্তক্ষেপের’ প্রতিবাদ জানান।

এতে অংশ নেন পরমাণু শক্তি কমিশনের বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ কমিশনের আওতাধীন রাজধানী ও বিভিন্ন স্থানে ৪০টি ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, কমিশনে পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য না থাকায় বর্তমান কমিশনে স্বায়ত্তশাসনের সংকট দেখা দিয়েছে। সব কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক কমিশনের বিজ্ঞানীদের উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বঞ্চিত করারও অভিযোগ তোলেন তাঁরা।

এ ছাড়া বিজ্ঞানীদের উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণে বাধা, বেতন–বৈষম্য, উপযোগিতা যাচাই না করে সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানের মতো আইবাস++ সিস্টেম ব্যবহারে কমিশনকে বাধ্য করা, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে কমিশনের অধিকার খর্বের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি সায়েন্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল্লাহ অভিযোগ তুলে বলেন, কমিশনের বিজ্ঞানীদের ৫৮টি, কর্মকর্তাদের ৬টি এবং কর্মচারীদের ৪৪টি পদ বিভিন্ন অবনমন করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এমন পদক্ষেপে বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের হস্তক্ষেপের ফলে নবীন বিজ্ঞানীরা কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন উল্লেখ করে এস এম সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ের বিধিবহির্ভূত কর্তৃত্ব এবং আমাদের বঞ্চনার অবসান চাই। দ্রুত সময়ে সমাধানের আশ্বাস না পেলে বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি এস এম সাইফুল্লাহ, সাধারণ গোলাম রসুল, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আরেফিন সিদ্দিকী, সাধারণ গোলাম কিবরিয়া, কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইসমাইল হোমেন মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জ্বল।

যুক্তরাষ্ট্রে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়েও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বাধার মুখে পড়তে যেতে পারেননি বলে উল্লেখ করেন পরমাণু শক্তি কমিশনের মুখ্য ভূতত্ত্ববিদ মনিরুজ্জামান সুমন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বৃত্তি খুব কম মেধাবীরা পেয়ে থাকেন। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়া আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত পরম ণ

এছাড়াও পড়ুন:

থানায় হাজতিদের জন্য বই কর্নার

নান্দাইল থানায় হাজতিদের বই পড়ে জীবন আলোকিত করার উদ্দেশ্যে ‘বই কর্নার’ চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার নিজ প্রচেষ্টায় কর্নারটি চালু করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার।
ইউএনও সারমিনা সাত্তার জানান, হাজতিরা স্বল্প সময় থানা হাজতে অবস্থান করেন। সেসময় তারা নানা ধরনের দুশ্চিন্তায় ভোগেন। এ সময়টুকুতে বই পড়ে যাতে তারা সুচিন্তা করতে পারেন মূলত সে উদ্দেশ্য নিয়েই বই কর্নারটি চালুর উদ্যোগ নেন তিনি। একমাত্র বই-ই পারে মানুষের জীবনকে আলোকিত করতে। অনেক সময় বইয়ের একটি ভালো বাক্যই কারোর জীবন বদলে দিতে পারে। তখন নান্দাইলের বই পড়া আন্দোলন নামে একটি সংগঠন কর্নারে পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের বই দেওয়ার অঙ্গীকার করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ