এবার আশ্রয়শিবিরে চিকিৎসাসেবা দেবেন রোহিঙ্গা তরুণীরাও
Published: 22nd, April 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৯ লাখের বেশি নারী-শিশু। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। এর মধ্যে পরিবারে রক্ষণশীল পরিবেশের কারণে অনেক নারীই হাসপাতালমুখী হন না। এই সমস্যা মোকাবিলায় মাঠে নেমেছেন একদল রোহিঙ্গা তরুণী। ৯ মাসব্যাপী চিকিৎসাবিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে সেবা পৌঁছে দেবেন তাঁরা।
উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে ২৪ জন রোহিঙ্গা তরুণীকে বিনা মূল্যে হাতেকলমে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বেসরকারি ‘হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন হসপিটাল’। এই রোহিঙ্গা তরুণীরা ৯ মাসের ‘মেডিকেল এইড ট্রেনিং কোর্স’ সম্পন্ন করেছেন। আজ মঙ্গলবার এই ‘ট্রেনিং কোর্সের’ সমাপনী দিন ছিল। এ উপলক্ষে হাসপাতালটির সম্মেলনকক্ষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৪ জন রোহিঙ্গা তরুণীর হাতে সনদ তুলে দেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবর্তন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।
হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন, আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৪) ইনচার্জ সুরাইয়া আক্তার, ক্যাম্প-৫ এর ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুর রউফ, হোপ ফিল্ড হসপিটালের সিনিয়র ম্যানেজার ও ইনচার্জ মোহাম্মদ শওকত আলী, চিফ মেডিকেল অফিসার এ বি এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত শরণার্থী কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, রোহিঙ্গা তরুণীদের এই প্রশিক্ষণ কেবল স্বাস্থ্যশিক্ষার বিষয় নয়, এটি রোহিঙ্গা নারীদের সক্ষমতা অর্জনের সঙ্গেও যুক্ত। প্রশিক্ষণকে কাজে লাগানো গেলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী লাভবান হবে।
মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জ সুরাইয়া আক্তার বলেন, কিশোরী মেয়েদের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রশিক্ষণ তাঁদের দক্ষতা বাড়াবে, মানবিক কাজে উৎসাহ জোগাবে। পাশাপাশি আশ্রয়শিবিরে অসচেতন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য তথ্য ও সেবার বিষয়ে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হবে। তিনি আরও রোহিঙ্গা তরুণীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার তাগিদ দেন।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোহিঙ্গা তরুণী নুর কলিমা (২২) বলেন, হোপ হাসপাতালের ৯ মাসের প্রশিক্ষণ তাঁকে স্বাস্থ্য বিষয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছে। হাতেকলমে মাতৃস্বাস্থ্য বিষয়ে শিখেছেন। এটা রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের সেবায় কাজে লাগবেন তিনি।
২০২৩ সালে হোপ হাসপাতাল আরআরআরসি কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে রোহিঙ্গা মেয়েদের ৯ মাসের ‘মেডিকেল এইড ট্রেনিং কোর্স’ চালু করে। এই কোর্সে প্রতি ব্যাচে ১২ জন করে রোহিঙ্গা তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ৯ মাসের প্রশিক্ষণে ২৪ জন রোহিঙ্গা তরুণী স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে অনেক কিছু শিখেছে। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাঁরা মানবিক ও সেবা কর্মে যুক্ত থাকবেন। এই কর্মসূচি চলমান রাখা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এবার আশ্রয়শিবিরে চিকিৎসাসেবা দেবেন রোহিঙ্গা তরুণীরাও
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৯ লাখের বেশি নারী-শিশু। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। এর মধ্যে পরিবারে রক্ষণশীল পরিবেশের কারণে অনেক নারীই হাসপাতালমুখী হন না। এই সমস্যা মোকাবিলায় মাঠে নেমেছেন একদল রোহিঙ্গা তরুণী। ৯ মাসব্যাপী চিকিৎসাবিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে সেবা পৌঁছে দেবেন তাঁরা।
উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে ২৪ জন রোহিঙ্গা তরুণীকে বিনা মূল্যে হাতেকলমে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বেসরকারি ‘হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন হসপিটাল’। এই রোহিঙ্গা তরুণীরা ৯ মাসের ‘মেডিকেল এইড ট্রেনিং কোর্স’ সম্পন্ন করেছেন। আজ মঙ্গলবার এই ‘ট্রেনিং কোর্সের’ সমাপনী দিন ছিল। এ উপলক্ষে হাসপাতালটির সম্মেলনকক্ষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৪ জন রোহিঙ্গা তরুণীর হাতে সনদ তুলে দেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবর্তন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।
হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন, আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৪) ইনচার্জ সুরাইয়া আক্তার, ক্যাম্প-৫ এর ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুর রউফ, হোপ ফিল্ড হসপিটালের সিনিয়র ম্যানেজার ও ইনচার্জ মোহাম্মদ শওকত আলী, চিফ মেডিকেল অফিসার এ বি এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত শরণার্থী কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, রোহিঙ্গা তরুণীদের এই প্রশিক্ষণ কেবল স্বাস্থ্যশিক্ষার বিষয় নয়, এটি রোহিঙ্গা নারীদের সক্ষমতা অর্জনের সঙ্গেও যুক্ত। প্রশিক্ষণকে কাজে লাগানো গেলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী লাভবান হবে।
মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জ সুরাইয়া আক্তার বলেন, কিশোরী মেয়েদের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রশিক্ষণ তাঁদের দক্ষতা বাড়াবে, মানবিক কাজে উৎসাহ জোগাবে। পাশাপাশি আশ্রয়শিবিরে অসচেতন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য তথ্য ও সেবার বিষয়ে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হবে। তিনি আরও রোহিঙ্গা তরুণীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার তাগিদ দেন।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোহিঙ্গা তরুণী নুর কলিমা (২২) বলেন, হোপ হাসপাতালের ৯ মাসের প্রশিক্ষণ তাঁকে স্বাস্থ্য বিষয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছে। হাতেকলমে মাতৃস্বাস্থ্য বিষয়ে শিখেছেন। এটা রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের সেবায় কাজে লাগবেন তিনি।
২০২৩ সালে হোপ হাসপাতাল আরআরআরসি কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে রোহিঙ্গা মেয়েদের ৯ মাসের ‘মেডিকেল এইড ট্রেনিং কোর্স’ চালু করে। এই কোর্সে প্রতি ব্যাচে ১২ জন করে রোহিঙ্গা তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ৯ মাসের প্রশিক্ষণে ২৪ জন রোহিঙ্গা তরুণী স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে অনেক কিছু শিখেছে। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাঁরা মানবিক ও সেবা কর্মে যুক্ত থাকবেন। এই কর্মসূচি চলমান রাখা হবে।