কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় ও ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে কারিগরি সহায়তা দিতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ সংক্রান্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২১৯ কোটি ২১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭৫ টাকা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড.

সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা যোগ দেন। সরকারি কাজে অর্থ উপদেষ্টা বিদেশে অবস্থান করা তিনি সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ১৫তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ৫.৪০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয়ের সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১৫তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের জন্য প্রাইস অফার পাঠানোর অনুরোধ করা হলে কাফকো, বাংলাদেশ প্রাইস অফার পাঠায়। কাফকোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সারের মূল্য নির্ধারণ করে ১৫তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৩৯০.৩৭৫ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ২৫০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ইউরিয়া সার ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩২ লাখ মেট্রিক টন। তার মধ্যে কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ৫.৪০ লাখ মেট্রিক টন ক্রয় করা হবে।

সভায় ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে কারিগরি সহায়তা দিতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ গ্রানুলার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী কারখানা ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ২৮০০ মেট্রিক টন। কারখানার সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখা ও কর্মরত জনবলের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির স্বার্থে ওয়ারান্টি প্রিয়ড ২০২৫ সালের ১১ মার্চ তারিখ পরবর্তী টেকনিক্যাল সার্ভিসের জন্য একক উৎসভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য কারখানার সাধারণ ঠিকাদার মেসার্স এমএইচআই, জাপানকে প্রস্তাব করা হলে প্রতিষ্ঠানটি দরপ্রস্তাব দাখিল করে।

প্রস্তাবটি কারিগরিভাবে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়। প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএইচআই, জাপানের কাছ থেকে পরামর্শ সেবা এক বছরের জন্য ৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

দৈনিক উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ২২ জন বিশেষজ্ঞ ১ বছরের জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে। এর মধ্যে ৫ জন টোকিও সাইট ও ১৭ জন জিপিএফপিএলসি সাইটে কাজ করবে।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ র ট ল ইজ র ন ল র ইউর য় র জন য প এলস

এছাড়াও পড়ুন:

৩ মাসে আয় ৯৯ কোটি টাকা, আয়ের অর্ধেকই মুনাফা

চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে ৯৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌লস। আর সব ধরনের খরচ বাদ দেওয়ার পর শত কোটি টাকার ব্যবসার প্রায় অর্ধেকটাই মুনাফা করেছে কোম্পানিটি।

সরকারি মালিকানাধীন এই কোম্পানি গত জানুয়ারি থেকে মার্চ—এই ৩ মাসে মুনাফা করেছে ৪৮ কোটি টাকা। আর এই সময়ে ব্যবসা করেছে ৯৯ কোটি টাকার। অর্থাৎ কোম্পানিটি যা আয় করে, সব খরচ বাদ দেওয়ার পর তার প্রায় অর্ধেকই মুনাফা। কোম্পানিটির গত জানুয়ারি-মার্চের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। আর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিবেদনের এসব তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেওয়া কোম্পানিটির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ৭ কোটি টাকার বেশি বা প্রায় ১৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম ৩ মাসে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ৪০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অথচ এই সময়ের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বা ব্যবসা বেড়েছে সোয়া ২ কোটি টাকা বা সোয়া ২ শতাংশের মতো। চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে কোম্পানিটি ব্যবসা করেছে ৯৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সাবমেরিন কেব্‌লসের আর্থিক বছরের হিসাব করা হয় জুলাই-জুনের অর্থবছরের হিসাবে। সেই হিসাবে, গত মার্চ শেষে কোম্পানিটির তিনটি প্রান্তিক শেষ হয়েছে। শেয়ারবাজারের নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে প্রতি প্রান্তিক শেষে আয়-ব্যয়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হয়। তার আগে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করতে হয়। এসব প্রক্রিয়া শেষে গতকাল সাবমেরিন কেব্‌লস তাদের ৯ মাসের (জুলাই-মার্চ) আয়-ব্যয় ও মুনাফার তথ্য প্রকাশ করেছে।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ২৯৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, ১ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ৪৪ কোটি টাকার ব্যবসা কমেছে। তবে ৯ মাসের বিবেচনায়ও দেখা যায়, কোম্পানিটি যে পরিমাণ আয় বা ব্যবসা করে, তার প্রায় অর্ধেকই মুনাফা। গত জুলাই-মার্চে ২৯৪ কোটি টাকার আয়ের বিপরীতে সব ধরনের খরচ বাদ দিয়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ১৪০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৩৩৮ কোটি টাকার ব্যবসা করে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ১৬৮ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৮ শতাংশ
  • এ বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮% হতে পারে: আইএমএফ
  • অর্ধবার্ষিকে হামিদ ফেব্রিক্সের লোকসান বেড়েছে ১২৬১.৯০ শতাংশ
  • ৩ মাসে আয় ৯৯ কোটি টাকা, আয়ের অর্ধেকই মুনাফা
  • ১৫% নগদ লভ্যাংশ দেবে ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স
  • ভারত–যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি কত দূর এগোল, কী কী করেছে ভারত
  • সাধারণ জ্ঞান–৫: মার্চ–২০২৫। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব
  • আইএইচটি ও ম্যাটসে তৃতীয় মেধাতালিকা থেকে ভর্তি চলছে
  • ২ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা