৬ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন
Published: 22nd, April 2025 GMT
২০১৫ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন পাটোয়ারী (২৫) নামে এক ছাত্রশিবির নেতাকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহত শাহাব উদ্দিনের বাবা। ঘটনার সময় শাহাব উদ্দিন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের হিসাববিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
শাহাব চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পশ্চিম চান্দিশকরা গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী ছেলে।
মামলায় চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তী, পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ, এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার ও এসআই ইব্রাহিমসহ ১২ জন পুলিশ কর্মকর্তা, কনস্টেবল, গাড়িচালক ও আনসার সদস্যকে বিবাদী করা হয়েছে। আদালত মামলার তদন্তের আদেশের জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মো.
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, শাহাব উদ্দিন শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রশাসনের সহায়তায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চৌদ্দগ্রাম থানা-পুলিশ শাহাব উদ্দিনকে পৌর এলাকার পশ্চিম চান্দিশকরা বাড়ি থেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করে। রাতে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে তার সন্ধান পায়নি। পর দিন সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মরদেহ শনাক্ত করে পরিবার।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, চৌদ্দগ্রামের তৎকালীন এমপি মুজিবুল হক, পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ও তৎকালীন পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীর হুকুমে অন্যান্য আসামিরা প্রত্যক্ষ সহায়তায় পুলিশ শাহাব উদ্দিনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।
মামলার বাদী জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী বলেন, ‘এতো দিন ভয় ও ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় মামলা করিনি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের কাছে ন্যায় বিচার পাব। সেই ভরসা থেকে মামলা করেছি। আমার ছেলে কোনো অপরাধ করে থাকলে তাকে কারাগারে রেখে বিচার করা যেত। তাকে মাথায় গুলি করে হত্যার পর চৌদ্দগ্রামের শামুকসার নাভানা প্রকল্পের সামনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে বলে পুলিশ টিভি ও পত্রিকায় প্রচার করে। এছাড়াও ঘটনা ভিন্ন দিকে নিতে আমার ছেলের বিরুদ্ধে উল্টো অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দেয় পুলিশ।’
বাদীর আইনজীবী মো. শাহ জাহান সমকালকে বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ছাত্রশিবির করার অপরাধে ঠাণ্ডা মাথায় তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু একজন নিরপরাধ ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার নির্দেশ ওই দিন কারা দিয়েছিল অভিযোগের তদন্ত হলে আরও অনেক পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় রাজনৈতিক নেতার নাম বের হবে। আশা করি বুধবার আদালত মামলার এফআইআর ও তদন্তের নির্দেশনা দেবেন।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত তৎক ল ন তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়েছে। স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড অ্যালামনাইয়ের উদ্যোগে ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাব ও ফটোগ্রাফি ক্লাব যৌথভাবে এই আয়োজন করে। রাজধানীর বনানীতে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে বর্ষবরণ আয়োজনে ছিল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নৃত্য, সংগীতানুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা। শিক্ষার্থীরা আবহমান বাংলার নানা পণ্য ও খাবারের পসরা সাজিয়েছিল এই মেলায়। অনুষ্ঠানে একক নৃত্য পরিবেশন করেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রীতিকা ও তাসনিম সারাহ।
বর্ষবরণ সংগীতানুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ফ্যাকাল্টি মেম্বার মাসিয়াত প্রাপ্তি, শিক্ষার্থী এড্রিয়েন হেনরি রডরিকেস এবং অনভব অগাস্টিন পালমা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অ্যাক্টিং ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া পিএইচডি, প্রভোস্ট চ্যান জো জিম, ডিন প্রফেসর গোলাম আহমেদ ফারুকী পিএইচডি। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি কালচারাল
ক্লাবের অ্যাডভাইজার ফাবিহা তানজিম, প্রেসিডেন্ট এরিক আলম খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়া সিরাজী,সেক্রেটারি লামহা মাসিয়াত ভুঁইয়া, পাবলিসিটি সেক্রেটারি আজরা সাদিয়া, অর্গানাইজিং সেক্রেটারিওয়ারিশা খান, ফটোগ্রাফি ক্লাবের এডভাইজার আকিব হক এবং প্রেসিডেন্ট নাবা আলী আয়শা উপস্থিত ছিলেন।