ইরানের হাতে অতি গোপনীয়-এআই সক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র, রক্ষা পাবে না শত্রুরা: সেনা কর্মকর্তা
Published: 22nd, April 2025 GMT
ইরানের নিজস্বভাবে তৈরি ‘অতি গোপনীয়’ অস্ত্রের তথ্য সামনে এনেছেন দেশটির সেনাবাহিনীর পদাতিক বিভাগের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিওউমার্স হেইদারি। এই অস্ত্রগুলোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সক্ষমতা রয়েছে। তিনি বলেছেন, শত্রুপক্ষের যেকোনো হুমকি দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে তেহরান।
গত শনিবার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হেইদারি বলেন, ‘আমাদের কাছে অতি অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। সেগুলোর কয়েকটি গোপনীয়, এমনকি অতি গোপনীয়। এগুলো এতটাই অত্যাধুনিক যে এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও এগুলোকে এখনো প্রচলিত অস্ত্র হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, তবে সেগুলোর সক্ষমতা অসাধারণ।’
ইরানের আল–আলম সম্প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথাগুলো বলেন সামরিক বাহিনীর এই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। তাঁর ভাষ্যমতে, কৌশলগত কারণে এই অস্ত্রগুলো এখনো প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে সেগুলো ব্যবহার উপযোগী অবস্থায় রয়েছে।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের পর ইরানের পদাতিক বাহিনীতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে বলে উল্লেখ করেন কিওউমার্স। তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের পদাতিক বাহিনীর দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার সক্ষমতা, উচ্চ দক্ষতা, হামলা চালানোর পূর্ণ সক্ষমতা এবং দ্রুত আক্রমণের সক্ষমতা রয়েছে।’
সম্প্রতি ইরানের সামরিক বাহিনীর ‘শক্তি ও প্রস্তুতির’ জন্য প্রশংসা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি বলেন, অন্য দেশের জন্য ইরানের সামরিক বাহিনী একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে। সেনা সদস্য এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জন্য পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে অপ্রতিরোধ্য একটি শক্তি হয়ে উঠেছে ইরান।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতা শুরুর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে নতুন করে সংকট দেখা দিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে তেহরানপন্থী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। ইরান ও ইসরায়েলও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় হামলা চালানোর হুমকিও দিয়েছে ইসরায়েল সরকার।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড, রাজুতে অনশন
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ ব্লকেড করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একদল শিক্ষার্থী।
আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। শিক্ষার্থীরা ‘ব্লকেড, শাহবাগ ব্লকেড, আমার ভাই অনশনে, ইন্টেরিম কী করে, শিক্ষা- সন্ত্রাস একসঙ্গে চলে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ দিকে একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ১০-১২ নেতা। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব মহির আলম, কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী, ছাত্রসংসদ নেতা রেজেয়ান আহমেদ রিফাত, রিমন চৌধুরী প্রমুখ অনশনে বসেছেন।