বলিউড তাদের জন্যই চলার পথটা মসৃণ করে রেখেছে, যাদের শরীরে বইছে তারকাদের রক্ত– এ দাবি অনেকের। স্বজনপোষণের কারণেই হিন্দি সিনেমা দিন দিন দর্শক হারাচ্ছে বলেও অনেকের মত। সিনেমা সমালোচক আর নেট দুনিয়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা নিজেও। একই সঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তারকা সন্তান না হওয়ার আক্ষেপ তুলে ধরছেন এই বলিউড তারকা।

তিনি বলেছেন, ‘সোনাক্ষী বা শ্রদ্ধার মতো অভিনেত্রীরা এমন পরিচালক বা প্রযোজকের দরজায় পৌঁছাতে পারে, যেখানে আমি পারি না। তারা এমন পরিচালকদের সঙ্গে দেখা করতে পারে, যাদের আমি চিনিও না।’

তাঁর এ কথা থেকে স্পষ্ট যে, তারকা সন্তানরা বলিউড সিনেমায় সবসময় বাড়তি সুবিধা পায়। কাজ খুঁজে নেওয়াটাও তাদের জন্য অনেক সহজ। তবে নুসরাত তাঁর বক্তব্যে সোনাক্ষী সিনহা ও শ্রদ্ধা কাপুরের নাম উদাহরণ হিসেবে তুলে আনলেও এই দুই অভিনেত্রীকে কোনো খাটো করার চেষ্টা করেননি।

তিনি এও বলেছেন, ‘‘আমি ওদের ‘তারকা সন্তান’ বলে কটাক্ষ করতে চাই না। কারণ তাদেরও নিজস্ব লড়াই রয়েছে। তবে তারা এমন সুযোগ পায়, যা আমরা পাই না। এ কারণেই তারকা সন্তান হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ রয়ে গেছে।’ 

নুসরাতের মতে, ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে আসা অভিনেত্রীদের জন্য পরিচালকের নম্বর পাওয়া বা তাদের সঙ্গে দেখা করা খুব কঠিন। যার উদাহরণ হিসেবে তিনি ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ সিনেমার কথা উল্লেখ করেছেন। 

নুসরাতের কথায়, ‘এই সিনেমা তাঁকে বলিউডে পরিচিতি এনে দিলেও প্রথম সিনেমা ছিল ‘কাল কিসনে দেখা’ সেভাবে আলোচনায় আসেনি। অথচ সোনাক্ষী সিনহা শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন ‘দাবাং’ সিনেমার জন্য। কারণ, তাঁর বিপরীতে ছিলেন সুপারস্টার সালমান খান। আবার শ্রদ্ধা কাপুরের অভিষেক ‘তিন পাত্তি’ সিনেমার মাধ্যমে হয়েছিল, যেটি বক্স অফিসে সাফল্যের দেখা পায়নি। তারপরও শ্রদ্ধার কাজের অভাব হয়নি। যার সুবাদে পরবর্তী সময়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছে। কিন্তু আমার এমন সৌভাগ্য হয়নি।’ সূত্র: আনন্দবাজার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিলের দাবিতে শনিবার ঢাকায় গণসমাবেশ ইসলামী আন্দোলনের

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিল ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় গণসমাবেশ ও গণমিছিলের কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আগামী শনিবার বেলা তিনটায় রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার দলের নিয়মিত বৈঠকে কর্মসূচির এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ অভিযোগ করেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন তাদের প্রস্তাবে যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে, তা কল্পনাও করা যায় না। তারা পারিবারিক আইন থেকে ধর্মকে বাতিল করার প্রস্তাব করেছে। এই কমিশন নারীদের কল্যাণের জন্য প্রস্তাব তৈরি করার জন্য গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু তারা নারীদের জন্য অসম্মান ও অভিশপ্ত জীবনের প্রস্তাব করেছে।

মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, কোনো নারীই স্বেচ্ছায় কেবলই টাকার জন্য যৌনকর্মে জড়ায় না; বরং পাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়ে তারা এ ক্ষেত্রে আটকে থাকতে বাধ্য হয়। তাদের এই অভিশপ্ত জীবন থেকে বের করে আনার প্রচেষ্টা থাকার কথা, অথচ সংস্কার কমিশন তাদের এই বাধ্যতামূলক কাজকে ‘পেশা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে।

আরও পড়ুন৩০০ আসন সংরক্ষিত রেখে সরাসরি ভোটের সুপারিশ৩১ মার্চ ২০২৫

অবিলম্বে এই কমিশনের প্রস্তাবকে সরকারিভাবে প্রত্যাখ্যান করে কমিশনকে বাতিল করার আহ্বান জানায় দলটি। বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ইসলামবিরুদ্ধ প্রস্তাব দিলেও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে একে সাধুবাদ জানানো হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। এটা জাতিকে হতাশ করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী শনিবার বেলা তিনটায় নারীবিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব বাতিল ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে গণসমাবেশ ও গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের নেতা গাজী আতাউর রহমান, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।

আরও পড়ুননারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ ১৯ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ