রিমান্ড শেষে কারাগারে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ও ৫ সহযোগী
Published: 22nd, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নাশকতার মামলায় মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী ও তার পাঁচ সহযোগীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদলত।
আট দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনের আদালতে হাজির করা হয় আসামিদের। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো অন্যরা হলেন- মোস্তাক আহমেদ, সলিমুল্লাহ, আসমতউল্লাহ, হাসান ও মনিরুজ্জামান। মনিরুজ্জামান ছাড়া সবাই মায়ানমারের বাসিন্দা। মনিরুজ্জামান সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
ডাবল মার্ডারে গ্রেপ্তার, তাহসিন হত্যাকাণ্ডে রিমান্ডে ছোট সাজ্জাদ
ইনু-মেনন-আনিসুল-দীপু মণি-সাদেক খানের আবার রিমান্ড
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো.
গত ১৭ মার্চ ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দুইটি মামলা করা হয়। আতাউল্লাহ বিরুদ্ধে ৯টি হত্যা মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা/অনিক/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম রানা (৩০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিন ওরফে রানা বরগুনার পাথরঘাট এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে। তিনি মাদারিপুরের মো. দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সুরভী আক্তারকে বিয়ে করে রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকার ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময়ে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলো।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সামছুল আরেফিন টুটুল বলেন, ২০২০ সালের ৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় পারিবারিক নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম রানা তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। সেই সাথে তার স্ত্রী সুরভী আক্তার পরিবারের সদস্যদের আত্মহত্যার কথা জানিয়ে আসার কথা বলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে সুরভী আক্তারের পরিবারের সদস্যরা এসে তার লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় সুরভী আক্তারের বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।