লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় সাংবাদিক কারাগারে
Published: 22nd, April 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান হত্যা মামলায় রুবেল হোসেন নামের এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার তাঁকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকা থেকে একদল লোক রুবেলকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রুবেল হোসেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ঢাকা মেইলের’ লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি। তিনি সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আবিরনগর গ্রামের ফজল করিমের ছেলে।
গ্রেপ্তারের আগে রুবেল গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, সাংবাদিক হিসেবে সংবাদ পরিবেশনের জন্য গত ৪ আগস্ট তিনি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছিলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যা মামলায় তাঁর নাম জড়ানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না।
৪ আগস্ট শহরের মাদাম ব্রিজ এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান নিহত হন। এ ঘটনায় আফনানের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মোন্নাফ বলেন, রুবেল রাতে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় অবস্থান করছিলেন। সেখানে একদল লোক এসে তাঁকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। আদালত তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র আফন ন
এছাড়াও পড়ুন:
দোকানে বসেছিলেন যুবদলকর্মী ইব্রাহিম, তিনটি অটোরিকশায় এসে বুকে-মাথায় গুলি
চট্টগ্রামের রাউজানে মুহাম্মদ ইব্রাহিম (৩০) নামে এক যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার গাজীপাড়া গ্রামের বাজারের একটি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তিনটি অটোরিকশায় করে ১০-ে১২ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার মাথায় ও বুকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ সময় তার বাবা মুহাম্মদ আলম ও চাচা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিমকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়া হয়। গায়ে গুলি না লাগলেও পালাতে গিয়ে পড়ে তারা আহত হয়েছেন।
নিহত ইব্রাহিম রাউজান সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শমশের নগর গাজীপাড়ার মোহাম্মদ আলমের ছেলে। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী।
পুলিশ জানায়, ইব্রাহিমের মাথায় ও বুকে গুলি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুরে ইব্রাহিম বাড়ির দেড় কিলোমিটার দূরে একটি দোকানের সামনে বসেছিলেন। এ সময় হঠাৎ একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তিনটি অটোরিকশায় এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার মাথা ও বুক লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার মাথার একদিকে গুলি ঢুকে অন্য দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের পর অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে সন্ত্রাসীরা এলাকা ত্যাগ করে।
নিহতের চাচা আবদুল হালিম বলেন, ‘ইব্রাহিমকে আমার সামনেই গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এগিয়ে গেলে আমাকে লক্ষ্য করেও তিন চারটি গুলি ছোড়া হয়। আমি ও আমার বড় ভাই কোনো রকমে পালিয়ে বেঁচে গেছি।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা পালিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফিরে বিস্তারিত জানাব।