শৈশবের আনন্দময় দিনগুলোয় পড়ার চাপ একটা বিপত্তিই বটে। ভবিষ্যতের জন্য তাকে তৈরি করতে চান অভিভাবক। কিন্তু শিশুর মন চায় হাসি-আনন্দে সময় কাটিয়ে দিতে। এই টানাপোড়েনে হোমওয়ার্ক নিয়ে বাড়িতে ছোটখাটো যুদ্ধ বেধে যায় অনেক সময়। তবে হোমওয়ার্কের বিপত্তি সামলানোর উপায় কিন্তু খুব কঠিন নয়।

রোজকার ধরাবাঁধা নিয়মে চলতে কারই–বা ভালো লাগে! নিজের জীবন দিয়েই বিচার করে দেখুন। অফিসে রোজকার কাজ সেরে বাসায় এসে যদি অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে বসতে হয়, আপনার কি ভালো লাগবে? নিশ্চয়ই না। হোমওয়ার্ক শিশুর জন্য একঘেয়ে এক ব্যাপার। পড়ালেখার চাপে যেন শৈশবের রংটা ফিকে হয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা সবচেয়ে জরুরি। এমনটাই বলছিলেন শিশু-কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক এবং যুক্তরাজ্যের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল ফেলো ডা.

টুম্পা ইন্দ্রানী ঘোষ।

আরও পড়ুনআপনার শিশু কি অন্যদের ‘বুলি’ করছে ২২ অক্টোবর ২০২৪শিশুকে গুরুত্ব দিন হোমওয়ার্ক না করলে রাগারাগি করবেন না

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ মওয় র ক

এছাড়াও পড়ুন:

আরও এক কার্গো এলএনজি কেনা হচ্ছে, দাম প্রতি ইউনিট সাড়ে ১২ ডলার

সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫৯৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এলএনজি সরবরাহের এ কাজ পেয়েছে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে যোগ দিতে অর্থ উপদেষ্টা এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি অনলাইনে এ সভায় অংশ নেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গণখাতে ক্রয় বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এ এলএনজি আমদানি করা হবে। এক কার্গো সমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি। এ দফায় প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়েছে ১২ দশমিক ৪৭৫ মার্কিন ডলার।

এর আগে গত ৫ মার্চ ক্রয় কমিটিতে দুই কার্গো এলএনজি কেনার দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। একটিতে দর ছিল প্রতি এমএমবিটিইউ ১৫ দশমিক ৭৩ মার্কিন ডলার, আরেকটিতে দর ছিল প্রতি এমএমবিটিইউ ১৫ দশমিক ৪৭ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে এখন দাম কিছুটা কম পড়ছে।

২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন সরকার আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য আগ্রহী বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের তালিকা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে সাড়া দিয়ে ২৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে ১৭টির সঙ্গে প্রথম দফায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) অনুস্বাক্ষর করা হয়।

তবে আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ভেটিং) পর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে এমএসপিএ স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয় ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অবশ্য ২৩–এ উন্নীত হয়। ভিটল এশিয়া সেই ২৩টিরই একটি।

এলএনজি সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দর প্রস্তাব আহ্বান করা হলে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দর প্রস্তাব দাখিল করে। এর মধ্যে চারটি প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয় এবং সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ পায় ভিটল এশিয়া। এ ছাড়া ক্রয় কমিটিতে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ শীর্ষক প্রকল্পে নিয়োজিত আইএলএফ কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স, ইউএই পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ৩ লাখ টাকা ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ