বিভিন্ন অপরাধে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানার হাজতে রাখার পর আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। হাজতে কাটানো সময়ে নিজেদের অপরাধ শুধরে নিতে ও সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে ময়মনসিংহের নান্দাইল থানায় স্থাপন করা হয়েছে বুক কর্নার। সেখানে কোরআন শরিফ ও হাদিসের বই ছাড়াও অন্যান্য বই রাখা হয়েছে।

নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তারের উদ্যোগে আজ থানায় এই বুক কর্নার উদ্বোধন করা হয়। সারমিনা সাত্তার বলেন, স্বল্প সময় থানায় থাকলেও হাজতিরা বিভিন্ন দুশ্চিন্তায় পড়েন। তাঁরা যাতে দুশ্চিন্তায় না পড়েন, সে জন্য মূল্যবান সময়টুকু বই পড়ার মাধ্যমে কাটিয়ে নিজেকে সমাজে ভালোভাবে গড়ে তোলার উৎসাহ জোগাতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে কোরআন শরিফ ও হাদিসের বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই আছে। তিনি আরও বলেন, একমাত্র বই মানুষের জীবনকে আলোকিত করতে পারে। বইয়ের একটি ভালো বাক্যই বদলে দিতে পারে একটি জীবন। আশা করি, এটি তাদের জীবনে কিছুটা হলেও কাজে লাগবে।

বুক কর্নারের উদ্বোধনের সময় নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.

ফয়জুর রহমান, নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ক কর ন র

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা

কলম ও কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও পরমাণু ভবনে বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ সময় বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পরমাণু শক্তি কমিশনের স্বায়ত্তশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘অযাচিত হস্তক্ষেপের’ প্রতিবাদ জানান।

এতে অংশ নেন পরমাণু শক্তি কমিশনের বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ কমিশনের আওতাধীন রাজধানী ও বিভিন্ন স্থানে ৪০টি ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, কমিশনে পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য না থাকায় বর্তমান কমিশনে স্বায়ত্তশাসনের সংকট দেখা দিয়েছে। সব কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক কমিশনের বিজ্ঞানীদের উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বঞ্চিত করারও অভিযোগ তোলেন তাঁরা।

এ ছাড়া বিজ্ঞানীদের উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণে বাধা, বেতন–বৈষম্য, উপযোগিতা যাচাই না করে সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানের মতো আইবাস++ সিস্টেম ব্যবহারে কমিশনকে বাধ্য করা, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে কমিশনের অধিকার খর্বের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি সায়েন্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল্লাহ অভিযোগ তুলে বলেন, কমিশনের বিজ্ঞানীদের ৫৮টি, কর্মকর্তাদের ৬টি এবং কর্মচারীদের ৪৪টি পদ বিভিন্ন অবনমন করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এমন পদক্ষেপে বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের হস্তক্ষেপের ফলে নবীন বিজ্ঞানীরা কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন উল্লেখ করে এস এম সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ের বিধিবহির্ভূত কর্তৃত্ব এবং আমাদের বঞ্চনার অবসান চাই। দ্রুত সময়ে সমাধানের আশ্বাস না পেলে বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি এস এম সাইফুল্লাহ, সাধারণ গোলাম রসুল, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আরেফিন সিদ্দিকী, সাধারণ গোলাম কিবরিয়া, কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইসমাইল হোমেন মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জ্বল।

যুক্তরাষ্ট্রে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়েও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বাধার মুখে পড়তে যেতে পারেননি বলে উল্লেখ করেন পরমাণু শক্তি কমিশনের মুখ্য ভূতত্ত্ববিদ মনিরুজ্জামান সুমন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বৃত্তি খুব কম মেধাবীরা পেয়ে থাকেন। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়া আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ