পঞ্চগড়ে দোকানের তালা ভেঙে ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট
Published: 22nd, April 2025 GMT
পঞ্চগড়ে একটি দোকানের তালা ভেঙে ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোরে পঞ্চগড় শহরের বানিয়াপট্টি এলাকার গিনি হাউস জুয়েলার্স থেকে এসব স্বর্ণ লুট করা হয়। দোকানের মালিক লব বণিক বানিয়াপট্টি এলাকার বাসিন্দা।
ওই দোকানের কর্মী নন্দ কুমার রায় বলেছেন, সোমবার দিনে দোকান খোলা ছিল। দোকান মালিকের মেয়ের বিয়ে, এজন্য সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকাল ৮টায় দোকান খুলতে এসে দেখি, সাটারের তালা ও সিন্ধুক ভাঙ্গা। মালিক খবর পেয়ে এসে দেখেন, সব স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
দোকান মালিকের ছেলে লিখন বণিক বলেছেন, “খবর পেয়ে আমরা দ্রুত দোকানে ছুটে আসি। এর পর বাজার কমিটি ও পুলিশকে জানাই। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দেখা গেছে, ভোর ৫টা থেকে সকাল ৬টায় দোকানের ভিতরে ও বাইরে ১১ জন দুর্বৃত্ত ছিল। দুল, আংটি, চুরিসহ প্রায় ৫০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে। এসব স্বর্ণালঙ্কারের মূল্য ৮০ থেকে ৮৫ লাখ টাকা।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/নাঈম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ ল ল ট কর
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।