নরসিংদীতে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 22nd, April 2025 GMT
নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে তাকে হত্যা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী সদর থানার ওসি মো. এমদাদুল হক।
নিহত আমির হোসেন সরকার (৩০) উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের আলোকবালী গ্রামের আব্দুল হক মিয়ার ছেলে। তিনি আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
নিহতের ভাই রাব্বি মিয়া জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে এলাকা ছাড়া ছিলেন আমির হোসেন। প্রবাস ফেরত ভাইকে দেখতে বাড়ি ফেরেন তিনি। আজ কয়েকজন লোক দেশি অস্ত্র দিয়ে আমির হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্বজনরা গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্পিডবোটে করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আরো পড়ুন:
খুলনায় মোটরসাইকেল থামিয়ে যুবককে গুলি করে হত্যা
গাজীপুরের আদালতে দীপু মনি-পলকসহ ৬ জন
নরসিংদী সদর থানার ওসি মো.
ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করল কুয়েটের ছাত্রীরা, শিক্ষা উপদেষ্টার ফোন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) রোকেয়া হলের তালা ভেঙে ফেলেছেন ছাত্রীরা। তারা হলে প্রবেশ করেছেন। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ছাত্রীরা হলটির ফটকে লাগিয়ে রাখা তালা ভাঙেন। তাদের এ কাজে সহায়তা করেন ছাত্র হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
এদিকে, কুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনালাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রোকেয়া হলে সামনে অবস্থানকারী ছাত্রীরা বলেন, এখন আমরা ১০-১৫ জন এসেছি। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী বাইরে রয়েছে। তারাও আজ কালকের মধ্যে হলে প্রবেশ করবেন।
আরো পড়ুন:
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত
শেবাচিমে অত্যাধুনিক সিমুলেশন ল্যাব উদ্বোধন
এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েটের ছাত্র হলগুলোর তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। গত দুই মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী আবাসিক হল তালাবদ্ধ ছিল। আজ সেটিরও তালা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে চার শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দুইজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। তাদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিক্স ২৩ এবং অন্যজন সিএসই ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী। অপর দুইজনকে অভিভাবকরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফোনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় উপদেষ্টা তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, উষ্ম আবহাওয়ায় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়বেন। শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে অনশন প্রত্যাহার করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি আশ্বস্ত করেন, শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পর্কে সরকার সচেতন রয়েছে। একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল অতি দ্রুত খুলনা যাবে। কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে চলতি সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনশনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, কুয়েট ভিসিকে অপসারণ করতে হবে। অথবা তাকে নিজ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। খুলনায় প্রায় ৪৫ ডিগ্রির মতো তাপ অনুভব হচ্ছে। এমন অবস্থায় আমরা কতক্ষণ বেঁচে থাকব জানি না। শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছেন বুধবার (২৩ এপ্রিল) কুয়েটে তদন্ত কমিটি আসছে। আমরা এই তদন্ত কমিটির নিন্দা জানিয়েছি। ভিসিকে অপসারণ না করে তদন্ত কমিটি কেন আসবে?
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ