কুষ্টিয়ায় নিখোঁজ ৩ নারী-শিশু ঢাকা থেকে উদ্ধার
Published: 22nd, April 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে তিন নারী ও এক শিশু নিখোঁজের একদিন পর রাজধানীর বাড্ডা থেকে তাদের উদ্ধার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ তিন নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত ব্যক্তিরা হলো- উপজেলার তালবাড়িয়া পশ্চিম রানাখড়িয়া এলাকার আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে আফরোজা খাতুন (১৬), মো.
কুষ্টিয়ার মিরপুর থানা সূত্রে জানা যায়, মিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আব্দুল আজিজ ও এসআই শরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করে।
এসময় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ জানা যায়, তারা পরিবারের অবহেলার শিকার এবং নিজেরা আয়-রোজগার করে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় পরিবারের সদস্যদের সেভেনআপের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, “সোমবার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা কাজ শুরু করি। অতঃপর মিরপুর থানার চৌকস একটি দল রাজধানীর মধ্য বাড্ডা থেকে তাদের উদ্ধার করে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।”
উল্লেখ্য, গত রবিবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে একই পরিবারের তিন নারীসহ শিশু নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘সোনাক্ষী-শ্রদ্ধারা সহজেই নির্মাতাদের কাছে পৌঁছাতে পারে, সেটা আমি পারি না’
বলিউড তাদের জন্যই চলার পথটা মসৃণ করে রেখেছে, যাদের শরীরে বইছে তারকাদের রক্ত– এ দাবি অনেকের। স্বজনপোষণের কারণেই হিন্দি সিনেমা দিন দিন দর্শক হারাচ্ছে বলেও অনেকের মত। সিনেমা সমালোচক আর নেট দুনিয়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা নিজেও। একই সঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তারকা সন্তান না হওয়ার আক্ষেপ তুলে ধরছেন এই বলিউড তারকা।
তিনি বলেছেন, ‘সোনাক্ষী বা শ্রদ্ধার মতো অভিনেত্রীরা এমন পরিচালক বা প্রযোজকের দরজায় পৌঁছাতে পারে, যেখানে আমি পারি না। তারা এমন পরিচালকদের সঙ্গে দেখা করতে পারে, যাদের আমি চিনিও না।’
তাঁর এ কথা থেকে স্পষ্ট যে, তারকা সন্তানরা বলিউড সিনেমায় সবসময় বাড়তি সুবিধা পায়। কাজ খুঁজে নেওয়াটাও তাদের জন্য অনেক সহজ। তবে নুসরাত তাঁর বক্তব্যে সোনাক্ষী সিনহা ও শ্রদ্ধা কাপুরের নাম উদাহরণ হিসেবে তুলে আনলেও এই দুই অভিনেত্রীকে কোনো খাটো করার চেষ্টা করেননি।
তিনি এও বলেছেন, ‘‘আমি ওদের ‘তারকা সন্তান’ বলে কটাক্ষ করতে চাই না। কারণ তাদেরও নিজস্ব লড়াই রয়েছে। তবে তারা এমন সুযোগ পায়, যা আমরা পাই না। এ কারণেই তারকা সন্তান হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ রয়ে গেছে।’
নুসরাতের মতে, ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে আসা অভিনেত্রীদের জন্য পরিচালকের নম্বর পাওয়া বা তাদের সঙ্গে দেখা করা খুব কঠিন। যার উদাহরণ হিসেবে তিনি ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ সিনেমার কথা উল্লেখ করেছেন।
নুসরাতের কথায়, ‘এই সিনেমা তাঁকে বলিউডে পরিচিতি এনে দিলেও প্রথম সিনেমা ছিল ‘কাল কিসনে দেখা’ সেভাবে আলোচনায় আসেনি। অথচ সোনাক্ষী সিনহা শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন ‘দাবাং’ সিনেমার জন্য। কারণ, তাঁর বিপরীতে ছিলেন সুপারস্টার সালমান খান। আবার শ্রদ্ধা কাপুরের অভিষেক ‘তিন পাত্তি’ সিনেমার মাধ্যমে হয়েছিল, যেটি বক্স অফিসে সাফল্যের দেখা পায়নি। তারপরও শ্রদ্ধার কাজের অভাব হয়নি। যার সুবাদে পরবর্তী সময়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছে। কিন্তু আমার এমন সৌভাগ্য হয়নি।’ সূত্র: আনন্দবাজার।