আশুগঞ্জ রেলস্টেশনকে ‘খ’ শ্রেণিতে পুনর্বহালসহ কয়েকটি দাবিতে মানববন্ধন
Published: 22nd, April 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ রেলস্টেশনকে ‘খ’ শ্রেণিতে পুনর্বহাল ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রেলস্টেশনটির প্ল্যাটফর্মে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচি শেষে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। ‘ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জ’–এর ব্যানারে এতে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। এ ছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জবাসীর পক্ষে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সিরাজ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সহশিল্প বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন ও সাবেক চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন, উপজেলা জামায়াতের আমির শাহজাহান, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খান, আলাল শাহ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোমানা ইসলাম, মানবিক আশুগঞ্জের মোস্তফা সরকার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিমেল উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা সাইদুল ইসলাম, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, রেলস্টেশনটি আগে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে সাবেক রেলমন্ত্রী রেলস্টেশনকে ‘ঘ’ শ্রেণিতে অবনমন করেন। এলাকাবাসী শুরু থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে আসছেন। পাশাপাশি তাঁরা রেলস্টেশনটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
আশুগঞ্জ রেলস্টেশনে কালোবাজারিদের কারণে ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, চলন্ত ট্রেন থেকে যাত্রীদের মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার ছিনতাই ও চুরির উপদ্রব বেড়েছে। স্টেশনটিতে স্টেশনমাস্টার নেই, সেই সঙ্গে ট্রেনের সিগন্যালের ব্যবস্থায়ও সমস্যা আছে। অথচ এই রেলস্টেশন থেকে প্রতি মাসে ১৫–২০ লাখ টাকা রাজস্ব পায় সরকার। কিন্তু যাত্রীরা তেমন কোনো সেবা পান না। রেলস্টেশনটিকে ‘খ’ শ্রেণিতে পুনর্বহাল, স্টেশনমাস্টারের পদায়ন, পুলিশ ফাঁড়ি পুনঃস্থাপন, দালালমুক্ত ও টিকিট কালোবাজারি এবং ছিনতাই বন্ধের আহ্বান জানান তাঁরা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে হত্যা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুর–দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বক্তারা বলেন, নিজ বাড়িতে দম্পতিকে হত্যা করা হলো অথচ পুলিশ গত পাঁচ দিনেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারল না। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
মানববন্ধনে রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক আনছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক শাজাহান খান, সদস্যসচিব ফজলার রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক আলী হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে খুন হন বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়। গত রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হলে মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রধান দরজার চাবি খুঁজে পেয়ে খুলে ঘরে ঢোকার পর প্রথমে ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায়ের ও রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান তাঁরা।
আরও পড়ুনরংপুরে নিজ বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার০৭ ডিসেম্বর ২০২৫পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে যোগেশ চন্দ্র রায় ও সুবর্ণা রায়ের লাশ তাঁদের বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এরপর যোগেশ চন্দ্র রায়কে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রীয় সম্মান শেষে তাঁদের সৎকার করা হয়। এ ঘটনায় দম্পতির বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।