সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য বিভাগ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসে এ বৈঠক হয়।

ওই বৈঠকে শিক্ষার্থীদের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে সপ্তাহে ছয় দিন ক্লিনিক্যাল ক্লাসের ব্যবস্থা, দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন করে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল চালু এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষক ও জনবল নিয়োগের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন জিয়াউর রহমান চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক আনিসুর রহমান, সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবুর রহমান, সিভিল সার্জন জসীম উদ্দিন প্রমুখ।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস জেলা সদর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে সেখানে পদায়ন করা হয়েছে, যাঁরা এক সপ্তাহের মধ্যে যোগ দেবেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতাল চালুর বিষয়ে দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ শেষ করতে গণপূর্ত বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্নের আশ্বাস দেওয়া হয়।

বৈঠকে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, তাঁদের সব দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এখন সবাই মিলে আলোচনা করে ক্লাসে ফেরা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। তাঁদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।

১৫ এপ্রিল থেকে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ, স্মারকলিপি প্রদান এবং সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। গতকাল সোমবার তাঁরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ স ন মগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

তফসিল‌কে স্বাগত, উৎসবমুখর নির্বাচন প্রত্যাশা ইসলামী আন্দোলনের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা‌কে স্বাগত জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দল‌টি প্রত‌্যাশা ক‌রে, নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বৃহস্প‌তিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দ‌লের পক্ষ থে‌কে প্রতিক্রিয়া জা‌নি‌য়ে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা ব‌লেন।

আরো পড়ুন:

অসত্য তথ্য ছড়ানোও শাস্তিযোগ্য অপরাধ: সিইসি

তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

তি‌নি বলেন, “জনগণের প্রত্যাশামাফিক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের যে তফসিল ঘোষিত হয়েছে তাকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে স্বাগত জানায়।”

আতাউর রহমান বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার আটটি দলের দাবিকে উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের যে চ্যালেঞ্জ তারা নিয়েছেন সেই চ্যালেঞ্জে তারা সফল হন; সেই প্রত্যাশা করি। সেজন্য আমরা সহায়তা করব ইনশাআল্লাহ।”

গাজী আতাউর রহমান বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম সরকার ও নির্বাচন কমিশন আন্দোলনরত আট দলের দাবি মেনে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করবে এবং জাতীয় ভোটের আগে গণভোট আয়োজন করবে। আমাদেন সেই দাবি উপেক্ষিত হলো। তথাপিও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা একে স্বাগত জানাচ্ছি।”

“মাঠ প্রশাসন এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে।মাঠ প্রশাসনের বিন্যাসে এবং কার্যক্রমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। কোন দলের প্রতি কোন ধরনের আনুকূল্যে দেখানোর সুযোগ নাই।”

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে ব‌লেও জরু‌রি ম‌নে ক‌রেন তি‌নি।

দল‌টির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আট দলের সাথে আন্দোলনরত আছে। আমরা আমাদের দলীয় পরিসরে এবং আট দলের ভেতরে আলোচনা করে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাব। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা এই তফসিলকে স্বাগত জানাচ্ছি।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তফসিল‌কে স্বাগত, উৎসবমুখর নির্বাচন প্রত্যাশা ইসলামী আন্দোলনের