মুন্সীগঞ্জের মুন্সীগঞ্জ-মুন্সীরহাট সড়কের পাঁচঘড়িয়া কান্দি নতুন ব্রিজের ঢালে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় বাবু মিজি (৩৬) নামে এক যুবদল কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি ধারালো ছোঁড়া, ৪টি হাত বোমা ও ২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।

সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাবু মিজিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার বাবু মিজি সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য এবং চরকেওয়ার ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনির মিজির ছেলে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়াও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে সদর থানায় মামলা রুজুর পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ফিরোজ কবির জানিয়েছেন, সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ-মুন্সীরহাট সড়কের পাঁচঘড়িয়া কান্দি এলাকার নতুন ব্রিজের ঢালে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত বাবু মিজি তার দুই সহযোগীকে নিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করার চেষ্টা করছিল। এতে চালক চিৎকার করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবু মিজিকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও জানানা, বাবু মিজির দেহ তল্লাশি চালিয়ে ১টি ধারালো ছোঁড়া, ৪টি হাত বোমা ও ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় তার সঙ্গে থাকা দুই সহযোগী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, বোমা ও ধারালো ছুরিসহ গ্রেপ্তার বাবু মিজিসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকালে মামলা রুজু করা হয়েছে। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য বদল গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

দোকানে বসেছিলেন যুবদলকর্মী ইব্রাহিম, তিনটি অটোরিকশায় এসে বুকে-মাথায় গুলি

চট্টগ্রামের রাউজানে মুহাম্মদ ইব্রাহিম (৩০) নামে এক যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার গাজীপাড়া গ্রামের বাজারের একটি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তিনটি অটোরিকশায় করে ১০-ে১২ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার মাথায় ও বুকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ সময় তার বাবা মুহাম্মদ আলম ও চাচা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিমকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়া হয়। গায়ে গুলি না লাগলেও পালাতে গিয়ে পড়ে তারা আহত হয়েছেন।

নিহত ইব্রাহিম রাউজান সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শমশের নগর গাজীপাড়ার মোহাম্মদ আলমের ছেলে। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী।

পুলিশ জানায়, ইব্রাহিমের মাথায় ও বুকে গুলি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুরে ইব্রাহিম বাড়ির দেড় কিলোমিটার দূরে একটি দোকানের সামনে বসেছিলেন। এ সময় হঠাৎ একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তিনটি অটোরিকশায় এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার মাথা ও বুক লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার মাথার একদিকে গুলি ঢুকে অন্য দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের পর অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে সন্ত্রাসীরা এলাকা ত্যাগ করে।

নিহতের চাচা আবদুল হালিম বলেন, ‘ইব্রাহিমকে আমার সামনেই গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এগিয়ে গেলে আমাকে লক্ষ্য করেও তিন চারটি গুলি ছোড়া হয়। আমি ও আমার বড় ভাই কোনো রকমে পালিয়ে বেঁচে গেছি।’

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা পালিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফিরে বিস্তারিত জানাব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দোকানে বসেছিলেন যুবদলকর্মী ইব্রাহিম, তিন অটোরিকশায় এসে বুকে-মাথায় গুলি
  • দোকানে বসেছিলেন যুবদলকর্মী ইব্রাহিম, তিনটি অটোরিকশায় এসে বুকে-মাথায় গুলি
  • যুবদলে সক্রিয় ছিলেন দুই ভাই, ১৫ বছরের ব্যবধানে দুজনই খুন
  • ভাত খাওয়ার সময় যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা