ধরলা-বারোমাসি নদীর বুকে বোরো ধান-ভুট্টার আবাদ
Published: 22nd, April 2025 GMT
দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে খরস্রোতা ধরলা-বারোমাসিয়া নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর বুকে জেগে ওঠা চরগুলোতে এবার বোরো ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করেছেন কৃষক। জেগে ওঠা ওই চরাঞ্চলের চারিদিকে সবুজ ফসলে ভরে গেছে। এ যেন সবুজের এক সমারোহ। এতে করে জীবন জীবিকা নির্বাহ জন্য বাড়তি আয় কৃষকের ঘরে ওঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
অথচ মাত্র এক থেকে দেড় যুগ আগেও পানির প্রবাহ ও প্রাণের স্পন্দন ছিল ধরলা ও বারোমাসিয়া নদীতে। এসব নদীর প্রবল স্রোতের কারণে আঁতকে উঠতো তীরবর্তী হাজারও বাসিন্দা। এখন পানি না থাকায় ধরলা-বারোমাসি নদীতে ছোট বড় প্রায় দুই থেকে আড়াই শতাধিক চরের সৃষ্টি হয়েছে। এতে জীব বৈচিত্র্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। শুধু ধরলা ও বারোমাসি নদীতে নয়, এই দুই নদী সংলগ্ন নীলকমলসহ আশপাশের সব নদ-নদীর বুকেও শতশত বিঘা জমিতে কৃষকরা একই ফসল চাষাবাদ করছেন।
প্রতি বছরে একবার এসব নদ-নদীর বুকে চাষাবাদ করে কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসলেও নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা ডিঙি নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহকারী জেলে পরিবারগুলো দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ধরলাসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে বোয়াল, কাতলা, রুই, টেংরা, কর্তি, ভেটকি, বৈরালীসহ নানান প্রজাতির মাছ শিকার করে তারা জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন। পানি প্রবাহ না থাকায় এসব মাছের দেখা পাচ্ছেন না জেলেরা।
ধরলা পাড়ের সোনাইকাজী এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম ও স্বপন মিয়া জানান, এক সময় এই ধরলা নদীই আমাদের ঘর-বাড়ি, আবাদি জমি-জমাসহ সব কিছুই গিলে নিয়েছে। সেই ধরলা এখন শুকিয়েছে। অনেকেই ধরলার আগ্রাসী রূপ দেখেছে। ধরলার তীব্র ভাঙনে অনেকেই নি:স্ব হয়েছেন। এখন আমরা প্রতি বছর ধরলার বুকে জেগে উঠা পলিমাটিতে ৪ থেকে বিঘা জমিতে বোরো চাষাবাদ করছি। এ বছর বোরোর বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে।
জেলার পাড়ার লাংগা মাঝি জানান বারো মাসে ধরলা ও বারোমাসিয়া, নীলকুমর নদীতে ডিঙি নৌকা দিয়ে মাছ ধরেছি। সেই মাছ বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের জীবন জীবিকা চালিয়ে আসছি। এখন নদীগুলোতে পানি শূন্য। দেশি মাছ নেই। কী করে সংসার চালাই ,চিন্তায় পড়েছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফসল চ ষ ব দ কর নদ র ব ক নদ নদ
এছাড়াও পড়ুন:
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দুই প্রস্তাবে ব্যয় ৩৬৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট’ ও ‘জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এই দুই প্রকল্পের জন্য পরামর্শক সেবা ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৩৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা যোগ দেন। সরকারি কাজে অর্থ উপদেষ্টা বিদেশে অবস্থান করা তিনি সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ‘কনসালট্যান্সি সার্ভিস ফর ডিজাইন, সুপারিভিশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ পরামর্শক সেবা ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ৭টি প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুরোধ প্রস্তাব পাঠানো হলে ৭টি প্রতিষ্ঠান কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসির নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ইপটিসা সার্ভিসিওস ডি ইনজেনিরা,এস,এল, স্পেন, অ্যাকোয়া কনসালট্যান্টস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড বাংলাদেশ, ডেভকনসালট্যান্ট লিমিটেড বাংলাদেশ, ডিজাইন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্টস লিমিটেডকে নিয়োগের সুপারিশ করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৭২ কোটি ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩৩ টাকা।
সভায়, ‘জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা (বিশেষ সংশোধন)’ প্রকল্পের আওতায় প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টাশন সাপোর্ট কনসালট্যান্ট নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাকে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় যৌথভাবে নর্থওয়েস্ট হাইড্রলিক কনসালট্যানটস লিমিটেড, মেটামেটা রিসার্চ, রিসোর্স প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিসিটেডকে নিয়োগের সুপারিশ করে দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি। ১৯৬ কোটি ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪৯ টাকায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়।
প্রকল্পের ডিপিপিতে পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান না থাকায় ডিপিপি সংশোধন করে পরবর্তীতে এ কমিটিতে প্রস্তাব করার জন্য সুপারিশ করা হয়। সেই নির্দেশনা অনুসারে ডিপিপি সংশোধন করা হয়। এ অবস্থায়, প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসির নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী যৌথভাবে ওই দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগের সপারিশ করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৯৬ কোটি ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪৯ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ