শাশুড়িকে নারীর চোখে ‘দানব’ বানায় কে
Published: 22nd, April 2025 GMT
সম্প্রতি পয়লা বৈশাখের শোভাযাত্রায় ফ্যাসিস্টের প্রতিমূর্তি মোটিফের প্রতিক্রিয়ার এক নারীর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যেখানে নারীটি মোটিফটির রূপের সঙ্গে তাঁর শাশুড়ির চেহারার মিল খুঁজে পাওয়ার প্রসঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি শুধু তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার মধ্যে তাঁর বক্তব্যকে সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং সামগ্রিকভাবেই তিনি শাশুড়িদের দানব রূপটির কথা বলেছেন।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই অনেক সমালোচনা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, নারীটিকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানাহেঁচড়া করা হয়েছে, নারীটির স্বামীর ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এমনকি কেউ কেউ নারীটিকে আইনের আওতায় আনার দাবি পর্যন্ত তুলেছেন।
‘নারীই নারীর শত্রু’ কথাটি যেন এক স্বীকৃত সত্য। অথচ পৃথিবীজুড়ে ঘটে চলা অপরাধ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অপরাধের শীর্ষে দিনের পর দিন, যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী পুরুষের জয়জয়কার। ঘটে যাওয়া অপরাধের মাত্রায় পুরুষের আশপাশেও নেই নারী। ঘরের মধ্যে কিংবা বাইরে এক পুরুষ অন্য পুরুষের সম্পত্তি আত্মসাৎ করছে, মারামারি করছে, হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করছে প্রতিনিয়ত। অথচ ‘পুরুষই পুরুষের শত্রু’ এমন কথার কিন্তু প্রচলন হয়নি আজও।বলার অপেক্ষা রাখে না যে শাশুড়ি সম্পর্কে নারীটির বক্তব্যটি ছিল খুবই দুঃখজনক, অশোভন ও অপ্রত্যাশিত। শাশুড়ি সম্পর্কে নারীটির সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতির এই প্রকাশ অনেককেই আহত করেছে সন্দেহ নেই, তবে বক্তব্যটিতে নতুন করে খুব অবাক হওয়ার মতো কোনো বিষয় ছিল বলে আমার মনে হয় না। নারীটির অনুভূতি কিন্তু বিচ্ছিন্ন কোনো অনুভূতি নয়। ব্যতিক্রম একটাই যে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
বাস্তবতা হচ্ছে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাশুড়ির নেতিবচাক রূপটির সঙ্গেই নারীকে পরিচিত করানো হয়েছে। ইতিবাচক শাশুড়ির প্রতিমূর্তি ব্যতিক্রম হিসেবেই বিবেচিত হয়ে আসছে। তাই ওই নারীকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আগে আমরা কী একবারও ভেবে দেখেছি, এই ধরনের চিন্তাভাবনা কিংবা অনুভূতি কীভাবে প্রোথিত হয় নারীর মনে? এর পেছনের রাজনীতিটি কী, যেখানে নারীকেই নারীর শত্রু কিংবা দানব হিসেবে চিত্রিত করা হয়? নারীকে নারীর শত্রু ভাবতে শেখার সুফলটি ভোগ করছে কে বা কারা?
‘নারীই নারীর শত্রু’ কথাটি যেন এক স্বীকৃত সত্য। অথচ পৃথিবীজুড়ে ঘটে চলা অপরাধ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অপরাধের শীর্ষে দিনের পর দিন, যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী পুরুষের জয়জয়কার। ঘটে যাওয়া অপরাধের মাত্রায় পুরুষের আশপাশেও নেই নারী। ঘরের মধ্যে কিংবা বাইরে এক পুরুষ অন্য পুরুষের সম্পত্তি আত্মসাৎ করছে, মারামারি করছে, হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করছে প্রতিনিয়ত। অথচ ‘পুরুষই পুরুষের শত্রু’ এমন কথার কিন্তু প্রচলন হয়নি আজও।
পুরুষ সহিংস পুরুষের প্রতি, পুরুষ আরও বেশি সহিংস নারীর প্রতি। ২০১৮ সালে পরিচালিত ‘গ্লোবাল স্টাডি অন হোমিসাইড: জেন্ডার রিলেটেড ক্রাইম অন উইমেন অ্যান্ড গার্লস’ শিরোনামে গবেষণায় দেখা যায়, সারা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ১৩৭ জন নারী তাঁদের পুরুষসঙ্গী বা পার্টনারদের হাতে খুন হচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে নারীর প্রতি সহিংস আচরণের দিক থেকে বাংলাদেশের পুরুষেরা বিশ্বে চতুর্থ। প্রতিদিন হাজার হাজার নারী ধর্ষণসহ নানা ধরনের যৌন নিপীড়নের শিকার হন।
পুলিশ সদর দপ্তরের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ছয় বছরে বাংলাদেশে মোট ৪০ হাজার ৮৮২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১৯ জন নারী কিংবা কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, বাংলাদেশের প্রায় ৭০ ভাগ নারী তাঁদের জীবদ্দশায় জীবনসঙ্গী বা স্বামী কর্তৃক অন্তত একবার হলেও সহিংসতার শিকার হয়েছেন। পুরুষের সহিংস আচরণের কারণে নিজের ঘর নারীর জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ স্থানে পরিণত হলেও ‘পুরুষ নারীর শত্রু’ বলে আখ্যায়িত হননি কখনো; বরং নারী অপ্রতিদ্বন্দ্বীভাবে ‘নারীর শত্রু’ হিসেবে সর্বমহলে বিবেচিত হয়েছেন।
যেখানে ঘরের বাইরের পৃথিবী নিয়ন্ত্রণের যুদ্ধে পুরুষের হানাহানি-মারামারি নিত্যদিনের ঘটনা, সেখানে শাশুড়ি-বউ-ননদ সম্পর্ক কিংবা মামুলি কিছু সমস্যার জন্য কেন এক নারীকে অন্য নারীর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো? আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীর দুর্বল সামাজিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে নারীকেই নারীর প্রতিপক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করে আর পুরুষের অত্যাচার-নির্যাতনকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে শেখায়। এই চর্চা নারীকে নারীর চোখে শত্রুর কাঠগড়ায় এমনভাবে দাঁড় করিয়ে দেয় যেন নারী নারীর প্রতি আস্থা হারিয়ে পুরুষের প্রতিই আত্মবিশ্বাসী হন ও আত্মসমর্পণ করেন।
নারীর দুর্বল সামাজিক অবস্থান তাঁকে শেখায়, সংসারটাই তাঁর একমাত্র অবলম্বন। চারদেয়ালের সংসারটাই অনেক নারীর কাছে তাঁর একমাত্র সাম্রাজ্য। যে সাম্রাজ্যের একমাত্র অধিকর্ত্রী তিনি। পুরুষের মতো নারীর নেই বাইরের কোনো জগৎ, নেই কোনো বিনোদন কিংবা কোথাও অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ। তাই তাঁর একমাত্র সাম্রাজ্যের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে নারীতে নারীতে শুরু হয় যুদ্ধ। এই যুদ্ধ বারবারই নারীকে ‘সংকীর্ণ’ আর পুরুষকে ‘উদার’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। অথচ নারী-পুরুষের সামাজিক অবস্থান যদি বিপরীত হতো, অর্থাৎ পুরুষ যদি ঘরে থাকত, আর নারী বাইরে, তবে এই টানাপোড়েন আলাদা হতো বলে মনে হয় না। পার্থক্য একটাই, সে ক্ষেত্রে শ্বশুর রূপটি হয়তো পুরুষের সামনে দানব হিসেবে আবির্ভূত হতো।
তবে সব পুরুষ যেমন পুরুষতান্ত্রিকতার চর্চা করেন না, ঠিক একইভাবে পুরুষতান্ত্রিক এই মানসিকতা যে শুধু পুরুষই লালন করেন, তা-ও কিন্তু নয়। কখনো কখনো নারীর মধ্যেও পুরুষতান্ত্রিক চর্চা প্রবলভাবে লক্ষ করা যায়। যে মানসিকতা একজন নারীকে অন্য একজন নারীর প্রতি সহিংস কিংবা বিরূপ করে তোলে, তার উৎসমূলে পুরুষতান্ত্রিকতা। যার বীজ রোপণ করা হয় শৈশবেই। শৈশব থেকেই একজন নারী অন্য একজন নারীকে হিংসাপরায়ণ হিসেবে ভাবতে শেখেন। এই শিক্ষা পুরুষতন্ত্রকে আরও পাকাপোক্তভাবে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
নারীকে যতই ‘নারীর শত্রু’বলা হোক না কেন, সত্য এই যে নারী পুরুষকে যেমন ভালোবেসেছেন, ঠিক তেমনি ভালোবেসেছেন নারীকে। তাঁর এই মহানুভবতাই টিকিয়ে রেখেছে সভ্যতা। নারী কখনোই নারীর শত্রু নন, হতে পারেন না। নারী নারীর শত্রু নন; পুরুষও নারীর শত্রু নন। নারীর শত্রু মূলত ‘পুরুষতান্ত্রিকতা’। তাই দানব যদি কেউ হয়ে থাকে, সে হলো ‘পুরুষতান্ত্রিকতা’, যা সহিংসতা আর বৈষম্যকে ছড়িয়ে দিচ্ছে সর্বত্র। তাই পুরুষতান্ত্রিক এই চর্চাকে রুখে দিতে হবে, যার ক্ষতিকর প্রভাব গ্রাস করছে নারী ও পুরুষের সুন্দর ও স্বাভাবিক সম্পর্ককে।
নিশাত সুলতানা
লেখক ও উন্নয়নকর্মী
[email protected]
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ই ন র র শত র র একম ত র একজন ন র অপর ধ র শত ব দ জন ন র অন ভ ত
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসাকর্মীদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইসরায়েলি বক্তব্য মিথ্যা: গাজা কর্তৃপক্ষ
গাজায় চিকিৎসাকর্মী, উদ্ধারকারী দলের সদস্যসহ ১৫ জনকে হত্যার ঘটনা ‘ভুল–বোঝাবুঝি’ থেকে হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে তা মানতে নারাজ উপত্যকাটির সিভিল ডিফেন্স সংস্থা। তাদের অভিযোগ, ওই ১৫ জনকে ‘তাৎক্ষণিক নির্বিচার হত্যা’ করেছেন ইসরায়েলি সেনারা। তাঁরা আন্তর্জাতিক আইন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
হত্যাকাণ্ডের ওই ঘটনা ঘটেছিল ২৩ মার্চ গাজার দক্ষিণে রাফা এলাকার কাছে। সেদিন ওই চিকিৎসাকর্মী ও উদ্ধারকারীরা উদ্ধারকাজে যাচ্ছিলেন। গাজা রেডক্রসের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তাঁদের নিয়ে সাইরেন বাজিয়ে এবং হেডলাইট ও ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স যাচ্ছিল। তা সত্ত্বেও গুলি চালিয়ে সবাইকে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা।
গাজা সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল–মুগাইর আজ সোমবার বলেন, চিকিৎসাকর্মীদের একজনের ধারণ করা ভিডিও এটাই প্রমাণ করে যে ইসরায়েলি দখলদারেরা যে বয়ান সামনে এনেছে, তা মিথ্যা এবং ভিডিওটি এটাই দেখিয়েছে যে তাৎক্ষণিক নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
জাতিসংঘের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তাসংক্রান্ত সংস্থা (ওসিএইচএ) এবং ফিলিস্তিনি উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই ১৫ জনের মধ্যে ৮ জন রেড ক্রিসেন্টের সদস্য, ৬ জন গাজার সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্য এবং ১ জন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনবিষয়ক শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কর্মকর্তা ছিলেন।
যা বলছে ইসরায়েল
১৫ জনকে হত্যার পর আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার ঝড় ওঠে। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। পরে গতকাল রোববার ওই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইসরায়েল। তাতে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বা নির্বিচার গুলি করেছে—এমন অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সেদিন ১৫ জনের নিহত হওয়ার ঘটনা ‘ভুলের’ কারণে হয়েছে। এ ঘটনায় সামরিক বাহিনীর একজন ‘ফিল্ড কমান্ডারকে’ চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আর নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন ছিলেন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য। যদিও এর আগে ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকেই দাবি করা হয়েছিল, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নয়জন যোদ্ধা ছিলেন।
গুলিতে নিহত সবার মরদেহ বালুর নিচে চাপা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। কিছুদিন পর মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। একে ‘গণকবর’ বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের সংস্থা ওসিএইচএ। আর ইসরায়েলি বাহিনীর তদন্ত প্রতিবেদন ‘মিথ্যায় ভরপুর’ বলে উল্লেখ করেছে রেড ক্রিসেন্ট। সংস্থাটির মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ এএফপিকে বলেছেন, ‘এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুনঅভিযানসংক্রান্ত ভুল–বোঝাবুঝি থেকে গাজায় চিকিৎসকদের হত্যা : আইডিএফ১৯ ঘণ্টা আগে২৪ ঘণ্টায় নিহত ৩৯
গাজায় আজও নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, আগের ২৪ ঘণ্টায় সেখানে অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ১ হাজার ৯০০ জন নিহত হলেন। মানবাধিকার সংস্থা প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটসের হিসাবে, তাঁদের মধ্যে ৫৯৫ জন শিশু ও ৩০৮ জন নারী।
এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চালানো ইসরায়েলের হামলায় ৫১ হাজার ২৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হলেন। এই ১৮ মাসে উপত্যকাটিতে আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৩১ জন। অপর দিকে গাজার জনসংযোগ কার্যালয়ের হিসাবে, উপত্যকাটিতে মোট নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০। তাঁদের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের শিকার এবং বাস্তুচ্যুত হওয়া গাজার ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি আরও ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। গতকাল সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অবরোধের শিকার গাজায় জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে।
আরও পড়ুনযুদ্ধের বিপক্ষে ইসরায়েলের ৭০ শতাংশ মানুষ, তবুও হামলা চালাবেন নেতানিয়াহু২০ এপ্রিল ২০২৫