এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিএনপি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাবে। তাই দলটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু)। তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, তারা ফ্যাসিবাদীদের দোসর।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম মিলনায়তনে বিএনপির ৩১ দফা প্রশিক্ষণবিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন সুলতান সালাউদ্দিন। দিনব্যাপী এ কর্মশালা বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে। এতে জেলা বিএনপির ১১টি অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ১১টি ইউনিটের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

একটি রাজনৈতিক দলকে ইঙ্গিত করে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক বলেন, নতুন যে দল গঠন করা হয়েছে, সেটি ইতিমধ্যে লুটপাটের দল হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। জনগণের আস্থা অর্জন সহজ কাজ নয়। আর অন্তর্বর্তী সরকার যাতে বেশি দিন থাকতে পারে, সে চেষ্টাও করছে দলটি।

বিএনপির ওই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান। ৩১ দফার ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর। ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা—সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কার’ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য মোর্শেদ হাসান খান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে’

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম নগর শাখার আমির শাহজাহান চৌধুরী। আজ রোববার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির কাছে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবিতে নগর জামায়াতে ইসলামী এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম নগর আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিদেশি বিনিয়োগ চাই। দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ অপরিহার্য। কিন্তু সেই বিনিয়োগ হোক গ্রিন ফিল্ডে। যেমন দেশের বিভিন্ন স্থানে ইকোনমিক জোনগুলোতে বিদেশিরা এসে বিনিয়োগ করছে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরিকৃত টার্মিনাল, যেখানে কোনো বিনিয়োগের দরকার নেই; কেন বিদেশিদের দেওয়া হবে তা বোধগম্য নয়।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই টার্মিনালের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর বিশাল রাজস্ব আয় করছে। চট্টগ্রাম বন্দরের মোট হ্যান্ডলিংয়ের ৫৫ শতাংশ এনসিটি টার্মিনালে হয়। চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ও উন্নতমানের নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয় করে। যার বর্তমান বাজারমূল্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে এই টার্মিনালে কোনো ধরনের বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নগরের নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মুহাম্মদ নুরুল আমিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, মোহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ, মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান হেলালী, এ কে এম ফজলুল হক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে পাঁচ জেটির এই টার্মিনাল নির্মাণে বন্দরের ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৪৬৯ কোটি টাকা। তবে বারবার আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও নেতাদের হস্তক্ষেপে টার্মিনালটি আট বছরেও পুরোপুরি চালু করা যায়নি। সব মিলিয়ে এই টার্মিনালে জেটি ও যন্ত্রপাতি খাতে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেরা সব বিনিয়োগের পর এখন দেশি অপারেটর দিয়ে নিউমুরিং টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনা করছে। তবে টার্মিনালে দেশি বিনিয়োগের পর নতুন করে বিদেশি অপারেটরের হাতে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি টার্মিনালের মধ্যে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) সবচেয়ে বড়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতেই সংস্কার চালাচ্ছে সরকার: জি এম কাদের
  • ‘নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে’