বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে ব্যক্তিগত ও দলীয় সাফল্যের স্বীকৃতি দিতে আয়োজিত হয় মর্যাদাপূর্ণ লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডস। সেখানে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি পেলেন লামিন ইয়ামাল। স্প্যানিশ তরুণ তুর্কি জিতেছেন বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার। অন্যদিকে বর্ষসেরা ক্লাবের সম্মাননা পেয়েছে ইয়ামালের বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে সোমবার রাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২০২৫-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

মাত্র ১৭ বছর বয়সী ইয়ামাল পুরস্কার জিতেছেন অ্যাথলেটিকসের জুলিয়েন আলফ্রেড ও লেসলি টেবোগো, সাঁতারু সামার ম্যাকিনটশ এবং বাস্কেটবল তারকা ভিক্টর ওয়েম্বানিয়ামাকে পিছনে ফেলে। তবে পুরস্কার নিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি ইয়ামাল। লা লিগায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বার্সেলোনার হয়ে মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচ থাকায় অনুশীলনেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি।

২০২৪ সালটা যেন ইয়ামালের জন্য স্বপ্নের মতো কেটেছে। ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬ ম্যাচে করেছেন ১৪ গোল ও ২১ অ্যাসিস্ট। জাতীয় দলের হয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিজের জায়গা পাকা করেছেন স্পেন স্কোয়াডেও। পাঁচ ম্যাচ খেলে একটি গোল ও একটি অ্যাসিস্টে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

বার্সা একাডেমির উঠতি তারকা ইয়ামাল গত বছরও জিতেছিলেন দুটি বড় স্বীকৃতি, কোপা ট্রফি ও গোল্ডেন বয় পুরস্কার, যা অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সীদের জন্য বরাদ্দ। সবচেয়ে কম বয়সে এই দুটি পুরস্কার জিতে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, বর্ষসেরা দলের পুরস্কার উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদের হাতে। ২০২৪ সালে দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটিয়েছে লস ব্লাঙ্কোরা। স্প্যানিশ লা লিগায় রেকর্ড ৩৬তম এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেকর্ড ১৫তম শিরোপা জিতে উল্লাসে মাতে কার্লো আনচেলত্তির দল। এছাড়াও তারা জিতেছে উয়েফা সুপার কাপ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ।

অন্যান্য পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সুইডিশ পোল ভল্টার মন্ডো ডুপ্ল্যান্টিস (বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদ), মার্কিন জিমন্যাস্ট সিমোনা বাইলস (বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ)। ‘স্পোর্টিং আইকন’ হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন স্পেনের কিংবদন্তি টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল। আর আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন মার্কিন সার্ফার কেলি স্ল্যাটার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

৩১৬ চালকলের লাইসেন্স বাতিল সিন্ডিকেটকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা

আমন মৌসুমে সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন না করায় দিনাজপুরের ৩১৬টি চালকল ও খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল করেছে খাদ্য বিভাগ। যোগ্য হলেও চুক্তিতে না আসায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে কলগুলো ধান থেকে চাল উৎপাদন কার্যক্রম, বাজারজাতকরণ ও ধান-চাল মজুত করতে পারবে না। এ নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে ধান-চাল বাজেয়াপ্তসহ সংশ্লিষ্ট চালকল মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বুধবার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ৩১৬ চালকলের মধ্যে ২৯৬টি সিদ্ধ ও ২০টি আতপ চালকল রয়েছে। যদিও ধানের দাম বেশি থাকায় চুক্তি সম্পাদন করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এ জন্য সিন্ডিকেট ও মজুতদারদের দুষছেন তারা। বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সরকারকে চাল দিয়ে কেজিপ্রতি ৬ থেকে ৭ টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালকল মালিক। তিনি বলেন, লোকসানে অনেক মালিক সরকারকে চাল দিতে চান না। বাজার যাচাই না করে কিংবা মিলারদের সঙ্গে কথা না বলেই সরকার দাম নির্ধারণ করে। তারপর চাপিয়ে দেওয়া হয় মিলাদের ওপরে। এতে লোকসানের শঙ্কায় অনেকে চুক্তি করেন না। বাজারে ধানের সংকট সৃষ্টি করা হয়। মৌসুমের শুরুতে ধান কিনে পরে দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে চালের দাম বেড়ে যায়।
ব্যবস্থা নেওয়া চালকলের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ৪০টি। এ ছাড়া বিরল উপজেলায় চারটি, বোচাগঞ্জে ৬০, কাহারোলে ১৫, বীরগঞ্জে ১১, খানসামায় চার, চিরিরবন্দরে ৩৩, পার্বতীপুরে ১৬, ফুলবাড়ীতে ৪০, বিরামপুরে সাত, হাকিমপুরে দুই, নবাবগঞ্জে ২৮ ও ঘোড়াঘাটে ৩৭টি চালকল রয়েছে। লাইসেন্স বাতিল হওয়া আতপ চালকলের মধ্যে দিনাজপুর সদরে ১৯ এবং চিরিরবন্দর উপজেলার একটি রয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে সরকারের খাদ্য সংগ্রহ অভিযানে জেলায় সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ হাজার ৮৭২ টন। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ৮০৬ টন। ১৭ হাজার ৭৯১ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সরকারের এ অভিযানে ধান-চাল সরবরাহের জন্য জেলার ৯১১টি সেদ্ধ চালকল এবং ৮৩টি আতপ চালকল চুক্তিবদ্ধ হয়। 
২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ মিল থেকে ৪৮ হাজার ৭২৪ দশমিক ৪০ টন সেদ্ধ চাল, ১১ হাজার ৩০৬ দশমিক ৪৬ টন আতপ এবং ২ হাজার ২৫৮ টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ শতাংশ সেদ্ধ ও ৯৬ শতাংশ আতপ চাল এবং ১৩ শতাংশ ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ।
এরই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগ অভ্যন্তরীণ আমন ২০২৪-২৫ মৌসুমে চুক্তিযোগ্য থাকলেও চুক্তি সম্পাদন করেনি, এমন চালকলের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা দেয়। সে অনুযায়ী ৩১৬ চালকলের মিলিং এবং খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী লাইসেন্স বাতিল করে খাদ্য বিভাগ।
ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরুর সময় বাজার যাচাই না করেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের। 
তারা বলছেন, মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে ধানের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ফলে অনেক মিল মালিক সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হননি। আবার যখন বাজারে ধান থাকে, তখন কৃষক যে দামে বিক্রি করেন, কিছুদিন পর সে দাম বাড়ে।
বাংলাদেশ মেজর ও অটোমেজর হাসকিং মিল মালিক সমিতির সহসভাপতি শহীদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন বলেন, মজুতদাররা কৃষকদের ধান কেনার পরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ে। মজুতদারদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে ধান কিংবা চালের দাম বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব না। এ জন্য বাজার তদারকি ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে হবে। মিল মালিকদের দায়ী করলে হবে না। বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অভিযান শুরু করলে সব মিলারই সরকারকে চাল দেবেন।
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, সরকারের অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য নীতিমালা রয়েছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী লাইসেন্স বাতিল এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংগ্রহ কার্যক্রম বারিত রাখার শাস্তির বিধান রয়েছে। যেসব মিল চুক্তি করেনি এবং চুক্তি করেও যারা চাল দেবে না, তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকাবাসী গত ৯ বছরে মাত্র ৩১ দিন নির্মল বাতাসে নিশ্বাস নিয়েছেন
  • ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • তিন কোম্পানির পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
  • মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • যমুনা ব্যাংকের ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • মামা-মামি ও বোনকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
  • আমি এভাবে কী করে বাঁচব-ড্রোন হামলায় দুই হাত হারানো গাজার শিশুর জিজ্ঞাসা
  • শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না বাংলাদেশ ফাইন্যান্স
  • ৩১৬ চালকলের লাইসেন্স বাতিল সিন্ডিকেটকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা