বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর এ বিষয়ে ইসি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী হিসেবে মেয়র ঘোষণা করা হয়। এ–সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ৩ মার্চ তাপস, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ আটজনকে বিবাদী করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন।

আরও পড়ুনমেয়র পদের ঘোষণা নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন ইশরাক২৮ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত২৭ মার্চ ২০২৫

নির্বাচনের এই ফলাফল বাতিলের পর ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল।

প্রয়াত বিএনপি নেতা ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক।

আদালত রায় দিলেও এখন পর্যন্ত ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেনি ইসি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, গেজেট প্রকাশের জন্য আদালত থেকে যে নির্দেশনা পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে ইসি। মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুনইশরাক ‘মেয়র’ হলেন, বিএনপি এখন কী করবে২৯ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনঢাকা দক্ষিণের মেয়র হওয়ায় ইশরাককে শুভেচ্ছা মির্জা আব্বাসের৩০ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ ইশর ক

এছাড়াও পড়ুন:

তথ্য গোপন করে পদ নেওয়া নোয়াখালীর সেই ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি

নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন ওরফে রাব্বিকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। তথ্য গোপন করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

অব্যাহতি পাওয়া মুরাদ হোসেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের স্নাতক (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত ২৩ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ভুলুয়া কলেজ শাখার ২০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করে। ওই কলেজের ছাত্র না হওয়ার পরও মুরাদ হোসেনকে কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করায় নেতা-কর্মীদের একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

কমিটি ঘোষণার পর মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর আজ তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা হিসেবে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের অনুমোদনক্রমে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমানে কলেজটির ছাত্র না হলেও এইচএসসিতে ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজে পড়েছেন মুরাদ হোসেন। ২০২০ সালে তিনি কলেজটি থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে নোয়াখালী সরকারি কলেজের বিবিএস (স্নাতক) প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছেন। তাঁর রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর যাচাই করে এর সত্যতা পাওয়া যায়।

অভিযোগ ওঠার পর মুরাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রদলের রাজনীতি করে আসছেন। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করে নোয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ‘নোয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার আগেই ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজ কমিটিতে আমার নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু কমিটির অনুমোদন হতে দেরি হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারির কথা জানাল পুলিশ
  • জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি ৬ মে
  • মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি ৬ মে
  • ব্যবসায়িক কার্যক্রমে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করার উদ্যোগ ওয়ালটনের
  • জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি মঙ্গলবার
  • তথ্য গোপন করে পদ নেওয়া নোয়াখালীর সেই ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি