সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যয়ে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সিটি কলেজের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। 

সংঘর্ষের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সায়েন্স ল্যাবের আশপাশের সড়কগুলোয় অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। 

গতকাল সোমবারও দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী আহত হন। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ওই এলাকাজুড়ে এক প্রকার উত্তপ্ত পরস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে দুই পক্ষকে দুই দিকে পাঠিয়ে দেওয়ায় এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে পুলিশ জানায়। 

এর আগে, গত সপ্তাহেও এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে সংঘর্ষ হয়।

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র শ ক ষ র থ দ র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বার্সা দুটি হারলেই কেবল লিগ জিতবে রিয়াল 

ভিআইপি গ্যালারিতে বসে উসখুস করছিলেন তিনি। এমনিতে আগের ম্যাচে আলাভেসের বিপক্ষে লাল কার্ড থাকায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। তার ওপর আবার গোড়ালিতে হালকা চোট। সব মিলিয়ে অ্যাথলেটিক বিলবাও ম্যাচের দর্শক ছিলেন এমবাপ্পে, যেখানে শেষ মুহূর্তে গোল করে রিয়ালকে লা লিগার রেসে টিকিয়ে রাখেন ফেদেরিকো ভালবার্দে। 

অতিরিক্ত সময়ে ডান পায়ের দুর্দান্ত ভলিতে বিলবাওয়ের জালে বল পাঠিয়ে দেন উরুগুয়ের এ তারকা। ১-০ গোলের এই জয়ে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে রিয়াল। কেননা এই ম্যাচে হোঁচট খেলেই লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার অনেক কঠিন হয়ে যেত তাদের জন্য। 

এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকায় গায়ে গায়ে দুটি দল। ৩২ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা, এর ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয়তে রিয়াল মাদ্রিদ। দুই দলের হাতে রয়েছে ছয়টি করে ম্যাচ। এর মধ্যে আগামী ১১ মে নিজেদের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। মূলত এই এল ক্ল্যাসিকোতে নির্ধারণ হয়ে যাবে লা লিগার শিরোপা যাবে কোন শহরে।

বার্সেলোনার লা লিগা জেতার সহজ সমীকরণ হলো হাতে থাকা সব ম্যাচ জেতা। সেক্ষেত্রে তিনটি বড় প্রতিপক্ষ রয়েছে তাদের সামনে– রিয়াল মাদ্রিদ, ভিয়ারিয়াল ও অ্যাথলেটিক বিলবাও। ছয়টির মধ্যে যদি কোনো একটিতে হার আর একটিতে ড্র করে বার্সা, অন্যদিকে রিয়াল হাতে থাকা সব ম্যাচ জিতে নেয়, তাহলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান। সেক্ষেত্রে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সুবাদে শিরোপা যাবে কাতালানদের ঘরে। 

এই মুহূর্তে বার্সেলোনা ৩২ ম্যাচে গোল করেছে ৮৮টি, হজম করেছে ৩২টি। তাদের গোল ব্যবধান ৫৬। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদ সমান ম্যাচে গোল করেছে ৬৫টি, আর হজম করেছে ৩১টি। তাদের গোল ব্যবধান ৩৪। বার্সার সঙ্গে এই গোল গোল খেলায় রিয়াল পিছিয়ে ২২ গোলে। তাই  এমবাপ্পেদের শিরোপা ধরে রাখতে হলে শুধু ছয়টি ম্যাচ জিতলেই হবে না, বার্সাকে অন্তত দুটি ম্যাচ হারতে হবে অথবা এক হারের সঙ্গে দুই ম্যাচে ড্রর প্রার্থনা করতে হবে। হাতে থাকা ছয়টি ম্যাচে দুটি হার এড়াতে পারলেই লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে বার্সেলোনার।

এর মধ্যেই অবশ্য ২৭ এপ্রিল এল ক্ল্যাসিকোর পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছে দুটি দল। কোপা দেল রের ফাইনালে সেদিন বার্সেলোনা তাদের লা লিগার সর্বোচ্চ গোলস্কোরার (২৫) লেভানডস্কিকে না পেলেও রিয়াল পাচ্ছে তাদের সেরা গোলস্কোরার (২২) এমবাপ্পকে। সেই সঙ্গে ভালবার্দেও আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছেন রিয়াল কোচ আনচেলেত্তির। লং রেঞ্জের শট নেওয়ার ব্যাপার রিয়ালের দারুণ এক সম্পদ উরুগুয়ের এ মিডফিল্ডার।

লিগে বেশ কিছু ম্যাচে দূরপাল্লার শটে অসাধারণ গোল করেছেন। ম্যাচ শেষে ভালবার্দের প্রশংসা ছিল আনচেলেত্তির মুখে। সেই সঙ্গে ভিনির একটি গোল বাতিল করা এবং একটি পেনাল্টি না দেওয়ার অভিযোগও ছিল। লিগে হাতে থাকা রিয়ালের ছয়টি ম্যাচের মধ্যে বার্সেলোনারটি বাদ দিলে বাকিগুলো তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। গেটাফে, সেল্টাভিগো, মালোর্কা, সেভিয়া আর সোসিয়াদের কেউই তালিকার শীর্ষ পাঁচে নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ