৫ আগস্টের আগুনে পুড়েছে সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি, হাইকোর্টকে রাষ
Published: 22nd, April 2025 GMT
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গত বছরের ৫ আগস্ট নথি আগুনে পুড়ে যায় বলে দাবি করা হয়।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ কথা জানানো হয়।
বিস্তারিত আসছে…
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাড়ে ৬ কেজি হেরোইন উদ্ধার, কারবারি গ্রেপ্তার
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইন ও নগদ ১৩ লাখ টাকাসহ শীর্ষ মাদক কারবারি তারেক হোসেনকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার তিরিন্দা ভাজানপুর এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা অফিস অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
বিকেলে নগরীর লিলি হলের মোড় এলাকায় সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. গোলাম আজম এ সব তথ্য জানান। তারেক গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সেনা সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছে সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে বাদামী বর্ণের ৮টি পলি প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম করে ৪ কেজি এবং একই বস্তায় ২৫ প্যাকেটে ১০০ গ্রাম করে আরো আড়াই কেজি হেরোইন পাওয়া গেছে। এছাড়া তার কাছে মাদক বিক্রির ১৩ লাখ টাকা, একটি মোবাইল ও ইলেকট্রিক সীল মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে। গম ও ভুট্টার বস্তার আড়ালে এগুলো লুকানো ছিল।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা সদস্য নেবে কাতার: প্রেস সচিব
সেনাপ্রধান ও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি সাক্ষাৎ
সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. গোলাম আজম বলেন, ‘‘বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তারেক হোসেন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের টিম তাকে ধরে ফেলে। পরে তিনি মাদকের কথা স্বীকার করেন। তার নিজস্ব খামার ও মার্কেট রয়েছে। সেখানে তাকে নিয়ে গিয়ে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইন ও ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। অধিদপ্তরের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ হেরোইন চালান এটি।’’
অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. গোলাম আজম আরো বলেরন, ‘‘তারেক হোসেন হেরোইন চোরাচালানের গডফাদার। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চক্রের অন্যান্য হোতাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আগামীতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’’
সংবাদ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুদ হোসেন বলেন, ‘‘আফগানিস্তানে আফিম নিষিদ্ধ হয়েছে, সেটা পুরোপুরি মিয়ানমারে শিফট হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের বর্ডার আছে। তাই দেশে মাদক ঢোকা সহজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে এখানে ঢুকছে। তবে আমরা বসে নেই। ধরা পড়ছে বেশি, আইনের আওতায় আসছে।’’
সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা অফিসের উপপরিচালক মোহা. জিললুর রহমান জানান, উদ্ধারকৃত হেরোইনের দাম প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।
ঢাকা/কেয়া/বকুল