Risingbd:
2025-04-22@11:00:51 GMT

যে রং দেখা যায় না

Published: 22nd, April 2025 GMT

যে রং দেখা যায় না

পৃথিবীতে এমন একটি রং আছে যার নাম ‘ওলো’। কিন্তু এই রং খালি চোখে দেখা যায় না। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এই রং আবিষ্কার করেছেন। ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ নামের একটি সাময়িকীতে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই রং সবুজ ও নীল রংয়ের মিশেলে তৈরি এই রং। যে রং দেখা যায় না।

তবে মানুষের চোখে লেজার রশ্মি ফেলে এই রং দেখাতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। রেজার রশ্মির আলোড়নের ফরে সবুজ ও নীলের যৌথ আভায় তৈরি ওই রং দেখতে পেরেছেন তারা।  যারা দেখেছেন তারা বলছেন, ‘ওলো’ অসাধারণ এক রং। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রেন এনজি বিবিসিকে জানিয়েছেন,  ‘‘বাস্তব জগতে আপনি যেসব রং দেখতে পান, সেগুলোর যেকোনোটির চেয়ে ‘ওলো’ বেশি গাঢ় ও উজ্জ্বল।’’

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মানুষের চোখের রেটিনায় কোণ আকৃতির কোষ রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে এই রং উপলব্ধি করা যায়। এই কোষ আবার তিন ধরনের—‘এস’, ‘এল’ ও ‘এম’। কোষগুলো লাল, নীল ও সবুজ রঙের আলাদা আলাদা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের প্রতি সংবেদনশীল।

আরো পড়ুন:

ওজন কমাতে ‘ডাবল কার্বিং’ এড়িয়ে যাওয়া কেন জরুরি

যে অভ্যাসটি আপনার জীবনকে আমূল পাল্টে দিতে পারে

গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত চোখ দিয়ে কিছু দেখার সময় মানুষের চোখে আলোর কোনো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে ‘এম’ কোষ আলোড়িত হলে, ‘এল’ ও ‘এস’ কোষও আলোড়িত হয়। কিন্তু লেজার রশ্মি ফেলার পর শুধু ‘এম’ কোষগুলো আলোড়িত হয়েছে। যার ফলে চোখ থেকে যে রঙের সংকেত মস্তিষ্কে যায়, তা সাধারণ দৃষ্টিতে ভেসে ওঠে না। আর এই কারণেই খোলা চোখে ওলো রং দেখা যায় না।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাড়ে ৬ কেজি হেরোইন উদ্ধার, কারবারি গ্রেপ্তার

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইন ও নগদ ১৩ লাখ টাকাসহ শীর্ষ মাদক কারবারি তারেক হোসেনকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার তিরিন্দা ভাজানপুর এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা অফিস অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বিকেলে নগরীর লিলি হলের মোড় এলাকায় সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. গোলাম আজম এ সব তথ্য জানান। তারেক গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সেনা সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছে সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে বাদামী বর্ণের ৮টি পলি প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম করে ৪ কেজি এবং একই বস্তায় ২৫ প্যাকেটে ১০০ গ্রাম করে আরো আড়াই কেজি হেরোইন পাওয়া গেছে। এছাড়া তার কাছে মাদক বিক্রির ১৩ লাখ টাকা, একটি মোবাইল ও ইলেকট্রিক সীল মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে। গম ও ভুট্টার বস্তার আড়ালে এগুলো লুকানো ছিল।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা সদস্য নেবে কাতার: প্রেস সচিব

সেনাপ্রধান ও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি সাক্ষাৎ

সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. গোলাম আজম বলেন, ‘‘বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তারেক হোসেন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের টিম তাকে ধরে ফেলে। পরে তিনি মাদকের কথা স্বীকার করেন। তার নিজস্ব খামার ও মার্কেট রয়েছে। সেখানে তাকে নিয়ে গিয়ে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইন ও ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। অধিদপ্তরের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ হেরোইন চালান এটি।’’

অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. গোলাম আজম আরো বলেরন, ‘‘তারেক হোসেন হেরোইন চোরাচালানের গডফাদার। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চক্রের অন্যান্য হোতাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আগামীতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’’

সংবাদ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুদ হোসেন বলেন, ‘‘আফগানিস্তানে আফিম নিষিদ্ধ হয়েছে, সেটা পুরোপুরি মিয়ানমারে শিফট হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের বর্ডার আছে। তাই দেশে মাদক ঢোকা সহজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে এখানে ঢুকছে। তবে আমরা বসে নেই। ধরা পড়ছে বেশি, আইনের আওতায় আসছে।’’ 

সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা অফিসের উপপরিচালক মোহা. জিললুর রহমান জানান, উদ্ধারকৃত হেরোইনের দাম প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ