নাটোরে ছাত্রলীগের কর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ (এন এস কলেজ) ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। 

সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নাটোর জেলা শাখার অধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কলেজ শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। বিজ্ঞপ্তিটি গতকাল রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জেলা ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে শহরের কানাইখালী এলাকায় নাটোর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরকে (২৫) ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পাদানিতে ফেলে পা চাপা দিয়ে নির্যাতন করা হয় এবং ওই অবস্থায় রাস্তায় ঘোরানো হয়। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।  

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এসএম জুবায়েরসহ কয়েকজন ছাত্রদল নেতাকর্মীর নাম উঠে আসে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। 

কমিটি বিলুপ্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন সৃজন বলেন, “ছাত্রলীগ বা কোনো অপরাধীকে ধরে মারার নির্দেশনা দল থেকে নেই। ওই ঘটনাটি জানার পরেই আমরা নিন্দা জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ঘটনায় যেহেতু কলেজ কমিটির নেতার নামেও অভিযোগ উঠেছে তাই এই সিদ্ধান্ত হয়ে থাকতে পারে।”

ঢাকা/আরিফ/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র ক

এছাড়াও পড়ুন:

ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দাবি অযৌক্তিক আখ্যা বাকৃবি শিক্ষার্থীদের

স্নাতক ডিগ্রিধারী কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষা ও চলমান বৈষম্য নিরসনে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় কৃষি ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের আট দফার মধ্যে অযৌক্তিক দাবির প্রতিবাদ জানান তারা। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরে মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবন ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা প্রাঙ্গণে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আমাদের এমন আন্দোলন কেনো করতে হবে? ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা অযৌক্তিক দাবি তুলেছেন। ২০২৪ পরবর্তী সময়ে আবারো কেনো সংরক্ষিত আসনের কথা উঠবে। তারা খামার বাড়ি দখল করার মতো সাহস পায় কোথা থেকে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন দেশে বিশৃংখলা না করতে পারে।

কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিএম মুজিবর রহমান বলেন, “কৃষি গ্রাজুয়েটদের যে সম্মান মর্যাদা, ডিপ্লোমাধারীদের দাবি একসঙ্গে মিলালে তা ক্ষুণ্ন হয়। যার যেমন সম্মান তাকে তেমনটা দেওয়া উচিত বলে মনে করি। এমনটি না হলে সর্বোপরি দেশের কৃষি খাতের ক্ষতি হবে।”

সবাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা বাকৃবি উপাচার্য বরাবর কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায় ছয় দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন। 

বিএসসি কৃষিবিদদের ছয় দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “কৃষিবিদদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সবসময় সমর্থন জানিয়ে এসেছি। ছয় দফা দাবি যথেষ্ঠ যৌক্তিক। আমি এর পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। যেকোনো সহযোগিতায় আমাকে তারা পাশে পাবে।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ