ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
Published: 22nd, April 2025 GMT
পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১.৫০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তার ভিত্তিতে লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তথ্য মতে, ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৪ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। লভ্যাংশ প্রদানে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২০ মে।
সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০.৫৯ টাকা।
এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
৩১৬ চালকলের লাইসেন্স বাতিল সিন্ডিকেটকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা
আমন মৌসুমে সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন না করায় দিনাজপুরের ৩১৬টি চালকল ও খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল করেছে খাদ্য বিভাগ। যোগ্য হলেও চুক্তিতে না আসায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে কলগুলো ধান থেকে চাল উৎপাদন কার্যক্রম, বাজারজাতকরণ ও ধান-চাল মজুত করতে পারবে না। এ নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে ধান-চাল বাজেয়াপ্তসহ সংশ্লিষ্ট চালকল মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বুধবার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ৩১৬ চালকলের মধ্যে ২৯৬টি সিদ্ধ ও ২০টি আতপ চালকল রয়েছে। যদিও ধানের দাম বেশি থাকায় চুক্তি সম্পাদন করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এ জন্য সিন্ডিকেট ও মজুতদারদের দুষছেন তারা। বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সরকারকে চাল দিয়ে কেজিপ্রতি ৬ থেকে ৭ টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালকল মালিক। তিনি বলেন, লোকসানে অনেক মালিক সরকারকে চাল দিতে চান না। বাজার যাচাই না করে কিংবা মিলারদের সঙ্গে কথা না বলেই সরকার দাম নির্ধারণ করে। তারপর চাপিয়ে দেওয়া হয় মিলাদের ওপরে। এতে লোকসানের শঙ্কায় অনেকে চুক্তি করেন না। বাজারে ধানের সংকট সৃষ্টি করা হয়। মৌসুমের শুরুতে ধান কিনে পরে দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে চালের দাম বেড়ে যায়।
ব্যবস্থা নেওয়া চালকলের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ৪০টি। এ ছাড়া বিরল উপজেলায় চারটি, বোচাগঞ্জে ৬০, কাহারোলে ১৫, বীরগঞ্জে ১১, খানসামায় চার, চিরিরবন্দরে ৩৩, পার্বতীপুরে ১৬, ফুলবাড়ীতে ৪০, বিরামপুরে সাত, হাকিমপুরে দুই, নবাবগঞ্জে ২৮ ও ঘোড়াঘাটে ৩৭টি চালকল রয়েছে। লাইসেন্স বাতিল হওয়া আতপ চালকলের মধ্যে দিনাজপুর সদরে ১৯ এবং চিরিরবন্দর উপজেলার একটি রয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে সরকারের খাদ্য সংগ্রহ অভিযানে জেলায় সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ হাজার ৮৭২ টন। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ৮০৬ টন। ১৭ হাজার ৭৯১ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সরকারের এ অভিযানে ধান-চাল সরবরাহের জন্য জেলার ৯১১টি সেদ্ধ চালকল এবং ৮৩টি আতপ চালকল চুক্তিবদ্ধ হয়।
২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ মিল থেকে ৪৮ হাজার ৭২৪ দশমিক ৪০ টন সেদ্ধ চাল, ১১ হাজার ৩০৬ দশমিক ৪৬ টন আতপ এবং ২ হাজার ২৫৮ টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ শতাংশ সেদ্ধ ও ৯৬ শতাংশ আতপ চাল এবং ১৩ শতাংশ ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ।
এরই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগ অভ্যন্তরীণ আমন ২০২৪-২৫ মৌসুমে চুক্তিযোগ্য থাকলেও চুক্তি সম্পাদন করেনি, এমন চালকলের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা দেয়। সে অনুযায়ী ৩১৬ চালকলের মিলিং এবং খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী লাইসেন্স বাতিল করে খাদ্য বিভাগ।
ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরুর সময় বাজার যাচাই না করেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের।
তারা বলছেন, মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে ধানের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ফলে অনেক মিল মালিক সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হননি। আবার যখন বাজারে ধান থাকে, তখন কৃষক যে দামে বিক্রি করেন, কিছুদিন পর সে দাম বাড়ে।
বাংলাদেশ মেজর ও অটোমেজর হাসকিং মিল মালিক সমিতির সহসভাপতি শহীদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন বলেন, মজুতদাররা কৃষকদের ধান কেনার পরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ে। মজুতদারদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে ধান কিংবা চালের দাম বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব না। এ জন্য বাজার তদারকি ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে হবে। মিল মালিকদের দায়ী করলে হবে না। বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অভিযান শুরু করলে সব মিলারই সরকারকে চাল দেবেন।
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, সরকারের অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য নীতিমালা রয়েছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী লাইসেন্স বাতিল এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংগ্রহ কার্যক্রম বারিত রাখার শাস্তির বিধান রয়েছে। যেসব মিল চুক্তি করেনি এবং চুক্তি করেও যারা চাল দেবে না, তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।