শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির বোর্ড অডিট কমিটির ২৬৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি ব্যাংকের কর্পোরেট প্রধান কার্যালয়ের পর্ষদ সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও কমিটির সদস্য একরামুল হক। 

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালক ও বোর্ড অডিট কমিটির সদস্যবৃন্দ আব্দুল হালিম, খন্দকার শাকিব আহমেদ এবং স্বতন্ত্র পরিচালক মো.

রিয়াজুল করিম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ এবং কোম্পানি সচিব মো. আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ডায়াবেটিস নিয়ে যেসব ধারণা ঠিক নয়

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়। অথচ ডায়াবেটিস বিষয়ে আমাদের অনেকের মাঝে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিসহ অজ্ঞতার কারণে কুসংস্কার বিরাজ করছে।

কেউ কেউ ভাবেন, ডায়াবেটিস একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি ঠিক নয়। এটি ছোঁয়াচে রোগ নয়।

কেউবা মনে করেন, মিষ্টি খেলে বা টেনশন করলে ডায়াবেটিস হয়! এ ধারণাও সঠিক না।  ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর মিষ্টি বা গ্লুকোজসমৃদ্ধ খাবার খেলে ইনসুলিনের অভাবে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে শরীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।

অনেক সময় চিকিৎসক বলতে পারেন, ‘আপনার হালকা ডায়াবেটিস হয়েছে।’ হালকা বা মাইল্ড ডায়াবেটিস বলে কোনো কথা নেই। বলতে হবে, ডায়াবেটিস আছে কী, নেই।

কেউ কেউ ডায়াবেটিক রোগীদের খেলাধুলা করতে বা গাড়ি চালাতে নিষেধ করেন। এটিও ভুল ধারণা। বরং ডায়াবেটিসে খেলাধুলা করাকে উৎসাহ দেওয়া উচিত। এতে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা প্রতিরোধে সহায়ক হয়।

দায়িত্বশীল হলে ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকলে গাড়ি চালাতেও কোনো বাধা নেই। বিশেষ কিছু সতর্কতা নেওয়া জরুরি।
অনেকে ভাবেন, ডায়াবেটিসে আস্তে আস্তে চোখ নষ্ট হয়ে যায়। ডায়াবেটিস নির্ণয়ের পর খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ম মানলে, নিয়মিত হাঁটলে ও ডায়াবেটিসের প্রয়োজনীয় ওষুধ খেলে কিংবা ইনসুলিন নিলে এমনটি হওয়ার কথা নয়। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে শুধু চোখ কেন হৃৎপিণ্ড, স্নায়ু বা নার্ভ, ত্বকসহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।

কেউ কেউ বলেন– করলা, উচ্ছে, মেথি বা নিমপাতা খেলে ডায়াবেটিস সারে। এমন ধারণাও ভুল। কারণ, ডায়াবেটিস সারাজীবনের একটা রোগ। একবার হয়ে গেলে কোনোভাবেই এটিকে সারানো যায় না। সঠিক নিয়ম মেনে রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। একথা সত্যি যে– করলা, উচ্ছে, মেথি বা নিমপাতা ডায়াটারি ফাইবারযুক্ত। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজমে সহায়তা করতে, নানা প্রকার চর্মরোগ প্রতিরোধে বিভিন্নভাবে এসব খাবার উপকারী। তবে চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে নয়।

কেউ কেউ দাবি করেন– স্পেশাল ডায়াবেটিক ডায়েট রোগীদের জন্য ভালো! এ কথাটিও সত্য নয়। বাজারে ‘ডায়াবেটিক’ সন্দেশ, বিস্কুট, জ্যাম, চকোলেট ইত্যাদি কিনতে পাওয়া যায়। এসব খাবারের গায়ে চমকপ্রদ কিছু লেখা আর চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে স্বাভাবিকভাবেই একজন ডায়াবেটিক রোগীর খেতে মন চায়। অথচ ব্রিটিশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ডায়াবেটিক খাবারে বাড়তি তেমন উপকার কিছু নেই। এমন খাবার পরিহার করা উচিত।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ