প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য সার্ভিস, ট্রেনিং এবং রিসার্চকে গুরুত্ব দিতে হবে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শেরেবাংলা নগরস্থ জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স রুমে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ফিজিক্যাল স্ট্রাকচার মোটামুটি একটি পর্যায়ে এসেছে। এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ফাংশনাল দিক উন্নত করা। এটাকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা। সেক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য এ ইন্সটিটিউটের ম্যান্ডেট হচ্ছে সার্ভিস, ট্রেনিং এবং রিসার্চ। এই তিনটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা যখন সাইকিয়াট্রিতে আসি- তখন অনেকে বলতেন সাইকিয়াট্রিস্ট বাই চান্স। কিন্তু এখন অবস্থাটা পুরো পাল্টে গেছে। এখন সাইকিয়াট্রিস্ট বাই চয়েস। এটা হচ্ছে সবচেয়ে সম্ভাবনার দিক।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের আধুনিক সময়ের মানুষদের পরিচয় হচ্ছে বহুমাত্রিক। আমাদের রাজনৈতিক, ধর্মগত, জাতিগত, পেশাগত পরিচয় রয়েছে। কিন্তু যখন আমরা নিজেদের সাইকিয়াট্রিস্ট বলি তখন কিন্তু আমরা এই পরিচয়টাকে হাইলাইটস করি। ফলে সেটাই ঐক্যের সূত্র হবে। এটা হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই আমরা এ জাতির মেন্টাল উন্নয়নের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করতে পারবো। আমরা তখনই ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, যখন সম্মিলিত স্বপ্ন থাকে। সম্মিলিত কোন স্বপ্ন ছাড়া কখনো ঐক্যবদ্ধ হওয়া যায় না। সাইকিয়াট্রিতে আমরা এমন সমস্যা ডিল করি যা একান্তই ব্যক্তিগত। ফলে সেক্ষেত্রে সাইকিয়াট্রিস্টদের বেশি এ্যথিক্যাল হওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যই একজন সাইকিয়াট্রিস্ট হিসেবে একজন ভালো মানুষ হওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি‌‌।”

সাইকিয়াট্রি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, “আশা করব- আপনাদের প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট ডাইমেনশন হিসেবে এই দিকটার প্রতি নজর রাখবেন। যেন আমরা ভালো, দক্ষ সাইকিয়াট্রিস্ট হওয়ার পাশাপাশি সত্যিই একজন এ্যথিক্যাল মানুষ হয়ে উঠতে পারি।”

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মো.

মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার হেদায়েতুল ইসলাম, অধ্যাপক ডাক্তার মো. এনায়েত করিম, অধ্যাপক ডাক্তার মো. নিজাম উদ্দিন, অধ্যাপক ডাক্তার ওয়ালিউল আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক কামরুল হাসান, ডাক্তার তৈয়বুর রহমান রয়েল, ডাক্তার আহসানউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

ঢাকা/এএএম/ইভা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো গাত্তি আর নেই

আর্জেন্টিনার ইতিহাসখ্যাত গোলরক্ষক হুগো ওরল্যান্ডো গাত্তি আর নেই। স্থানীয় সময় রবিবার (২০ এপ্রিল) ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ফুটবল কিংবদন্তি। লাতিন আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গত দুই মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গাত্তি। কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতির বদলে নতুন করে দেখা দেয় নিউমোনিয়া, কিডনি জটিলতা ও হৃদরোগ। এসব জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত তার পরিবার তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

‘এল লোকো’ নামে পরিচিত গাত্তি ছিলেন একেবারে আলাদা ঘরানার গোলরক্ষক। সাহসী, উদ্ভট এবং অনেক সময় অপ্রচলিত কৌশলে খেলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতেন তিনি। আর্জেন্টাইন লিগে সর্বোচ্চ ৭৬৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড আজও তার দখলে। ২৬ বছরের দীর্ঘ পেশাদার ক্যারিয়ারে (১৯৬২–১৯৮৮) তিনি বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। যার মধ্যে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে ১৯৭৭ সালে জিতেছেন কোপা লিবার্তাদোরেস।

আরো পড়ুন:

হামজা ও শমিতের পর লাল-সবুজের জার্সি পরতে যাচ্ছেন সান্ডারল্যান্ডের মিচেল

বার্সেলোনার রোমাঞ্চকর জয়ের পর অস্বস্তির চোট সংবাদ

অনেক ফুটবল বিশ্লেষকের মতে, আজকের ‘সুইপার কিপার’ কনসেপ্ট— যেখানে গোলরক্ষক গোলপোস্ট ছেড়ে খেলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন— এর শুরুটা গাত্তির হাত ধরেই হয়েছিল। তার সেই সময়ের সাহসী খেলার ধরণ আধুনিক ফুটবলের জন্য ছিল এক নতুন ধারা।

১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রথম শিরোপা জয়ের দলে মূল গোলরক্ষক হিসেবে তার জায়গা নিশ্চিত থাকলেও হাঁটুর চোটের কারণে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।

গাত্তি ছিলেন শুধু একজন ফুটবলার নন— তিনি ছিলেন একজন স্পষ্টভাষী ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। একবার তিনি দিয়েগো মারাডোনাকে ঠাট্টা করে 'গর্ডিতো' (মোটা) বলেন। এর জবাবে পরের ম্যাচে মারাডোনা তার বিপক্ষে চারটি গোল করে দেন। এমন অনেক ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন গাত্তি, যা তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে।

তার মৃত্যুতে বিশ্ব ফুটবল হারিয়েছে এক সাহসী, বৈচিত্র্যময় ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে, যিনি যুগ গড়েছেন নিজের মতো করে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে সময় বাড়ানো হলো আরও ৬ মাস
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: আবারও উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
  • আবারও উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা, ক্ষমা চাইতে আলটিমেটাম
  • ঘরোয়া বাজি এবং ফেসবুক সমাচার
  • যৌন হয়রানি নিয়ে বেরোবি প্রক্টরের বক্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক
  • চিকিৎসাকর্মীদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইসরায়েলি বক্তব্য মিথ্যা: গাজা কর্তৃপক্ষ
  • ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপের কাজ কী?
  • ক্ষমতার প্রথম ১০০ দিনে ট্রাম্পের যত আলোচিত উক্তি
  • আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো গাত্তি আর নেই